হজ: আত্মনিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ সবক
ফারুক নোমানীঃ
চলছে যুলকাদ মাস। অন্য বছর এসময় দেশে একটি পবিত্র আবহ সৃষ্টি হয়। ইহরামের শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমান বন্দরের দিকে। হাজীদের বিদায় জানানো ও তাদের কাছ থেকে দুআ নেয়ার জন্য মানুষ থাকে ব্যাকুল হয়ে। অন্য বছর এ মাসটিতে থাকে মুমিন বান্দার আত্মার উত্তেজনা। ভালোবাসার অনন্য অনুভূতিতে পূর্ণ থাকে হৃদয়। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর সৌদি প্রশাসন বর্হিবিশ্ব থেকে হজে যাবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সীমিত আকারে হজের কার্যক্রম সৌদির ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাই আল্লাহর ঘরের অতিথিদের বিদায় জানানো ও তাদের দুআ থেকে যেমন আমরা বঞ্চিত হলাম, পূর্ণ প্রস্তুতির পরও সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ বঞ্চিত হলেন আল্লাহর ঘরের যিয়ারত হতে। আমরা দুআ করি, দয়াময় আল্লাহ অচিরেই যেন এই মহামারী পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নেন, দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে উঠুক পুরো বিশ্ব। আমীন
পাঠক, আমরা হজের মূল শিক্ষা নিয়ে আলোচনার পূর্বে হজ বিষয়ক প্রাথমিক কিছু কথা জেনে নিই।
হজ:
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। নামায রোযা যাকাতের মতো হজও একটি ফরয ইবাদত। তবে সক্ষম ব্যক্তির জন্য তা জীবনে একবারই আবশ্যক।
সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু উমর রা. হতে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ১. এ কথার সাক্ষ দেয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সা. আল্লাহর রাসুল। ২. নামায কায়েম করা। ৩. যাকাত প্রদান করা, ৪. হজ করা এবং ৫. রমযানের রোযা রাখা।’ (সহীহ বুখারী ০৭, সহীহ মুসলিম ২১, ২২)
হজ ফরয হওয়ার বিষয়ে আল্লাহ বলেন-‘যার সামর্থ্য রয়েছে সেখানে পৌঁছার, তার জন্য হজ করা আল্লাহর প্রাপ্য।’ (সূরা আলে ইমরান ৯৭)
হজের ফযিলত:
সহীহ হাদীসে নবীজী সা. হজের বহু ফযিলতের কথা বলেছেন। আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, নবীজী সা. বলেন-‘মকবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়।’ (সহীহ মুসলিম ১৩৪৯)
আবু হুরায়রা রা. এর সূত্রে বর্ণিত অন্য হাদীসে নবীজী সা. বলেন- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে নবজাতক শিশু যাকে তার মা এ মুহূর্তেই প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে।’ (সহীহ বুখারী ১৪৩১, সহীহ মুসলিম ১৩৫০)
এই দু’টি হাদীসে দৃষ্টি দিলে সহজেই বুঝা যায়- যার হজ আল্লাহর দরবারে কবুল হবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দিয়ে পুরস্কৃত করবেন এবং তার জীবনের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন। আর তাকে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের মতো পাপমুক্ত করে দিবেন।
কার ওপর হজ ফরয:
আমাদের মসজিদগুলোতে নামায রোযা ও যাকাতের কিছু আলোচনা হলেও তেমন একটা আলোচনায় আসে না হজের বিষয়টি। তাই ইসলামের অন্যতম একটি ফরয বিধান হওয়ার পরও সে ব্যাপারে অসচেতন অধিকাংশ মুসলিম। তাদের ধারণা হজ করতে হলে অনেক অনেক সম্পদের মালিক হতে হয়। কিন্তু বিষয়টি আসলে এমন নয়।
হজের আবশ্যকীয়তার বিধান যে আয়াতের মাধ্যমে অবতীর্ণ হয়েছে, সে আয়াতেই বলা হয়েছে তা কার ওপর ফরয। আল্লাহ বলেন- ‘আর এ ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য, যাদের সামর্থ্য রয়েছে তথায় পৌঁছানোর। আর যে লোক তা মানে না (সে যেন জেনে রাখে) আল্লাহ সমগ্র বিশ্ব থেকে অমুখাপেক্ষী।’ (সূরা আলে ইমরান ৯৭)
সুতরাং যার বায়তুল্লাহ পৌঁছার সক্ষমতা রয়েছে তার জন্য হজ করা ফরয। এটাকে আরো খোলাসা করে যদি বলা হয় তাহলে বলতে হবে- নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ বাদে কারো কাছে যদি এমন টাকা থাকে যা দ্বারা সে হজে যাওয়া আসার খরচ বহন করতে পারে, তাহলে তার ওপর হজ ফরয। এখানে একটি বিষয় ভালো করে মনে রাখা দরকার- যাকাতের বিধানের ক্ষেত্রে পুরো বছর নেসাব পরিমাণ টাকা তার মালিকানায় থাকা আবশ্যক, কিন্তু হজের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয়। তাই কেউ যদি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা (যা দিয়ে হজে যাওয়া আসার খরচ বহন করা যায়) দিয়ে এমন কোন কাজ করে যার ওপর তার জীবন জীবিকা নির্ভরশীল নয়, তবুও তার ওপর হজ ফরয।
অন্ধ ও নাবালেগ বাচ্চার অর্থনৈতিক সক্ষমতা থাকলেও হজ ফরয নয়। আর্থিক সক্ষমতার সাথে সাথে মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত আরেকটি শর্ত হলো হজে তার সাথে মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ হারাম) পুরুষ থাকতে হবে।
জীবন বদলে হজের প্রভাব:
হজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আল্লাহর ইবাদতের একটি প্রকার হলো দৈহিক, আরেক প্রকার ইবাদত হলো অর্থনৈতিক। তবে হজের ভেতর দৈহিক ও অর্থনৈতিক উভয় প্রকার ইবদতের সুন্দর সমন্বয় ঘটেছে। এখানে বলে রাখা ভালো, আসলে আমরা যে ইবাদতই করি না কেন তা কিন্তু আমাদের নিজেদের জন্যই। আমরা ইবাদত করলে বা না করলে আল্লাহর কোন লাভ ক্ষতি নেই। ইবাদতের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরই উপকার করি। নিজেদের ভেতরে সততা, নিষ্ঠা, আত্মোপলব্ধি ও অসৎকর্ম বর্জনের প্রেরণা পাই। তবে একজন মানুষ এত টাকা ব্যয় করে এতদিনের সময় খরচ করে হজ করতে যান, এতে তার পরকালীন লাভ ছাড়াও রয়েছে জাগতিক বহুবিধ উপকার। যার অনেকটাই অনুভব করেন না অধিকাংশ মানুষ।
সহজে বলা যায়- যিনি হজ করলেন, তিনি একটি নতুন জীবন পেলেন। হজ মানুষের হৃদয়ে পরকালের কথাকে জাগরূ করে দেয়। আল্লাহর ঘরে অবস্থানকারী সকলকেই স্মরণ করিয়ে দেয় কিয়ামত দিবসের কথা। হজের দিনে মানুষ যেভাবে অবস্থান করবে পরকাল দিবসেও ঠিক তারা একইভাবে অবস্থান করবে। ভয়াবহ গরমের ভেতরে মানুষ হজের দিনে যেভাবে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে একমুখী অবস্থান করে, ঠিক একইভাবে পরকাল দিবসেও মানুষ প্রচণ্ড গরমে ঘেমে একাকার হয়ে যাবে। হজ আদায়কালীন সময়ে নারী পুরুষ একসাথে থেকেও সকলের একটাই চিন্তা আল্লাহর কাছ থেকে কৃত সকল অপরাধের ক্ষমা চেয়ে নেয়া। সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ সে কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যে কথা বলেছেন আল্লাহ পাক কুরআনে-‘সে দিন তারা কবর থেকে দ্রুত বেগে বের হবে, যেন তারা কোন এক লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে।’ (সূরা আল মায়ারিজ ৪৩)
আবার বারবার সাফা মারওয়ার মাঝে আসা যাওয়া মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, পরকালে আল্লাহর দরবারে সুপারিশের জন্য নবীদের কাছে বারবার আসা যাওয়ার কথা। এ ছাড়াও হজ আদায়কারী কাবা ঘর তওয়াফের মাধ্যমে বিনা দ্বিধায় আল্লাহর বিধান মেনে নেয়ার শিক্ষা আর্জন করেন। আর শয়তানের সাথে চিরস্থায়ী দ্বন্ধের অনুভূতি জাগাতেই হাজীদেরকে নির্ধারিত স্থানে পাথর মারার বিধান দেয়া হয়েছে।
মোটকথা: হজের মাধ্যমে উপলব্ধ অনুভূতি ও উপকারিতাসমূহ যদি বাস্তবজীবনে বাস্তবায়িত হয় তাহলে ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান পালন করা সহজ হয়ে যায়। পরকালের কথা হৃদয়ে থাকার কারণে অন্যায় অপরাধ থেকে সে মুক্ত থাকতে পারে। আর নিঃসন্দেহে এটি ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের জন্য ব্যাপক কল্যাণ বয়ে আনবে।
হজ জীবনে একবার কেন ফরয?
দিনে পাঁচ বার নামায পড়া ফরয। রোযা ফরয পুরো একটি মাস। যাকাতও দিতে হয় প্রতিবছরে একবার। কিন্তু ইসলামের অন্যতম ফরয ইবাদত ও পঞ্চস্তম্ভের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ এই হজ করতে হয় জীবনে একবার। প্রশ্ন হতে পারে – যদি এতটাই গুরুত্ব বহন করে হজ, তবে জীবনে কেন একবারই তা ফরয করা হলো? এ প্রশ্নের উত্তর বুঝার আগে সহজ একটি কথা দেখুন! আমরা রোগের জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করি তা কিছু খেতে হয় দিনে তিনবার। কিছু আছে দুইবার। কোনটিবা দিনে একবার। আবার কোন ওষুধ খেতে হয় সপ্তাহে একদিন। বিভিন্ন রোগের জন্য জীবনে একবার করে নেয়া টিকার কথাও আমরা জানি। সবগুলোই ওষুধ, অথচ সেবনের ক্ষেত্রে এত ব্যবধান! আর এটা মূলত হয়েছে ওষুধের শক্তি ও কার্যক্ষমতার উপর বিবেচনা করেই।
এবার আমরা বলতে পারি, হজের বিধানটি এতটাই শক্তিশালী ও কার্যক্ষমতা সম্পন্ন যে, কোন ব্যক্তি যদি জীবনে একবারও সঠিকভাবে বিধি মেনে হজ করেন, তার শিক্ষা ও অনুভূতি সদা হৃদয়ে জাগ্রত রাখেন, তাহলে সারাজীবনের জন্য এটা তার যথেষ্ট হয়ে যায়। মন্দের ভেতরে বাস করেও তিনি পবিত্রতা বজায় রাখতে পারেন।
এক্ষত্রে আমরা কুরআনুল কারীমের একটি আয়াত দেখলেই সহজে বুঝে নিতে পারি, আল্লাহ বলেন-‘হজের মাসগুলো সুবিদিত, অতএব যে ব্যক্তি এই মাসগুলোতে (ইহরাম বেঁধে) নিজের উপর হজ অবধারিত করে নেয়, সে হজের সময়ে কোন অশ্লীল কথা বলবে না, কোন গুনাহ করবে না এবং কোন ঝগড়াও করবে না।’ (সূরা বাকারা ১৯৭)
এখানে হজের ভেতর আল্লাহ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তিনটি পাপকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। কারণ এই তিনটি এমন পাপ তা ধনি গরিব সাদা কালো সকল মানুষের দ্বারা সম্ভব। সকলে খুনি, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ না হলেও এই তিনটি পাপের প্রেরণা সকল মানুষের ভেতরেই রয়েছে।
প্রথমে দেখি অশ্লীলতার বিষয়টি। অশ্লীলতা এমন মহাপাপ যা ব্যক্তি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংসের অতলে পৌঁছে দিতে পারে। আর হজে সারা পৃথিবী থেকে সাদা কালো সুন্দরী অসুন্দরী সব ধরনের লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ আসেন। এক সাথে আল্লাহর ইবাদত করেন। তাই কেউ যদি হজের সফরে এই ৪০/৪৫ দিন নিজের চোখ, মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, পাপের সুযোগ থাকার পরও যদি পূর্ণ আত্মনিয়ন্ত্রণে সফল হন, অশ্লীলতা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন, তাহলে এমন একটি নিয়ন্ত্রণ শক্তি তার অর্জন হবে যা পরবর্তী জীবনে তাকে সকল অশ্লীলতা থেকে বাচিঁয়ে রাখতে পারবে।
দ্বিতীয় নিষিদ্ধ বিষয়ে পাপসমূহের কথা বলা হয়েছে। এখানে সব ধরনের পাপই উদ্দেশ্য। কারণ, সাধারণত আমাদের দেশের হাজী সাহেবগণ হজের আগে মক্কায় গিয়ে উমরা সেরে নেন। এরপর হজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। তখন তারা হাতে বিস্তৃত সময় পান। তাই গল্পের আসরও জমান অনেকে। আর এ গল্পে নানা ধরনের কথার সাথে মিথ্যা, পরনিন্দা, গীবতও চলে আসে। অথচ এর প্রত্যেকটিই আল্লাহর কাছে মহাপাপ। তাই কেউ যদি এসকল পাপ থেকে হজের সফরের এই দীর্ঘ সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে পরবর্তী জীবনেও তিনি পাপমুক্ত চলতে সক্ষম হবেন।
তিনটি নিষিদ্ধ বিষয়ের শেষটি হলো ঝগড়া করা। মানুষ রেগে গিয়ে ঝগড়া করে। অসম্মান ও সৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। আর হজে এ ধরনের ঘটনা ঘটা খুবই স্বাভাবিক। নানা দেশের নানা রকম মানুষ আসে হজ করতে। তাই কেউ বুঝে হোক আর না বুঝে হোক অন্যকে কষ্ট দিতে পারে। সিরিয়াল ভেঙে কখনো কোন কাজে আগে চলে যেতে পারে। ভিড়ে পায়ে পাড়া লাগতে পারে। খাবারটা খুব ভালো নাওবা হতে পারে। এ ধরনের নানা রকম পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে পারেন হাজী। রেগে যেতে পারেন, হতে পারেন উত্তেজিত। তবে আল্লাহর জন্য যদি হজের সফরে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থতিতেও কেউ রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে ঝগড়ায় লিপ্ত না হন, তাহলে তার আত্মনিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা ইনশা আল্লাহ অর্জিত হবে। আর এই তিনটি মহাপাপ থেকে যদি কেউ নিজেকে ৪০/৪৫ দিন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে তিনি পূর্ণ তাকওয়া অর্জন করতে পারবেন। আল্লাহর সকল বিধান তার অনায়াসেই পালন করা সম্ভব হবে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতকে জীবনে একবার ফরয করা হয়েছে।
শেষকথা:
পাঠক, আমরা হজের বিধানগুলো পরখ করলে দেখতে পাবো, একটি মানুষকে পূর্ণ মানুষে রূপান্তরিত করার সবটুকু উপায় রয়েছে হজের মধ্যে। একজন সুনাগরিক ও আত্মনিয়ন্ত্রণকারী আল্লাহভীরু মানুষ হবার সকল প্রশিক্ষণ তো হজেই রয়েছে। তাই মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন সুখ সমৃদ্ধি, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দয়াময় আল্লাহ হজ ফরয করেছেন।
লেখক: ইমাম, মেইন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
মুহাদ্দিস, বলিদাপাড়া মাদরাসা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।