ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে দুবাই প্রবাসি নারীর মৃত্যু

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ষড়াতলা গ্রামে দুবাই প্রবাসী শাপলা বেগম (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সড়াতলা গ্রামের মুংলা মন্ডলের মেয়ে। গত ৩ মার্চ শাপলা বেগম দেশে আসেন। দেশে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কুষ্টিয়া জেলা শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয় তাকে।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন সাবধানতা অবলম্বন করে চারটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়।

হরিণাকুন্ডুর ফলসি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, মেয়েটি বিদেশ থেকে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার নানা ধরণের রোগ ছিল। তবে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ তার মধ্যে ছিল না।

শাপলা বেগমের চিকিৎসা করেছিলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ। তিনি জানান মেয়েটির হার্টে সমস্যা ছিল। তার পায়ে ইনফেকশন ছিল। যেটা নিরাময় যোগ্য ছিল না। দুবাই থাকতেই ওখানকার চিকিৎসকরা ক্যন্সার মনে করে চিকিৎসা দিয়েছিল বলে ওই নারী তাকে জানিয়েছিলেন। জামিনুর রশিদ শাপলার স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন এক সাথে দুইটি হাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের ফলে তার তার গলা বুক আটকে আসতে থাকে। এরপর তার মৃত্যু ঘটে।

তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ তার মধ্যে ছিল না। এদিকে করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসান সেনা বাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের সহায়তায় জেলা ব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করছেন। তারপরও মানুষ বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে হাট বাজারে ও অযাথা ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০
৩১৭ Time View

হরিণাকুণ্ডুতে দুবাই প্রবাসি নারীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৬:০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ষড়াতলা গ্রামে দুবাই প্রবাসী শাপলা বেগম (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সড়াতলা গ্রামের মুংলা মন্ডলের মেয়ে। গত ৩ মার্চ শাপলা বেগম দেশে আসেন। দেশে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কুষ্টিয়া জেলা শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয় তাকে।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন সাবধানতা অবলম্বন করে চারটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়।

হরিণাকুন্ডুর ফলসি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, মেয়েটি বিদেশ থেকে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার নানা ধরণের রোগ ছিল। তবে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ তার মধ্যে ছিল না।

শাপলা বেগমের চিকিৎসা করেছিলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ। তিনি জানান মেয়েটির হার্টে সমস্যা ছিল। তার পায়ে ইনফেকশন ছিল। যেটা নিরাময় যোগ্য ছিল না। দুবাই থাকতেই ওখানকার চিকিৎসকরা ক্যন্সার মনে করে চিকিৎসা দিয়েছিল বলে ওই নারী তাকে জানিয়েছিলেন। জামিনুর রশিদ শাপলার স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন এক সাথে দুইটি হাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের ফলে তার তার গলা বুক আটকে আসতে থাকে। এরপর তার মৃত্যু ঘটে।

তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ তার মধ্যে ছিল না। এদিকে করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসান সেনা বাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের সহায়তায় জেলা ব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করছেন। তারপরও মানুষ বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে হাট বাজারে ও অযাথা ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।