ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হার না মানা প্রতিবন্ধী অনিকের সাফল্য!

Reporter Name

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

প্রতিবন্ধিকতা জয় করে নিজের ইচ্ছাশক্তি আর মনবল নিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী অনিক মাহমুদ(২২)। চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। জন্ম থেকেই তার দুই পা অস্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলেও নিজেকে পিছিয়ে ফেলেননি তিনি। হুইল চেয়ারে চলাচল করেই অন্যদের মতো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিমুহুর্তে কাজ করে চলেছেন। হার না মানা অনিকের সাফল্য এখন মানুষের মুখে মুখে।

বলছিলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার প্রতিবন্ধী অনিক মাহমুদের কথা। প্রতিবন্ধিকতা জয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন সে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে প্রতিমাসে ৭০থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন অনিক। এলাকার বেকার তরুণদের জন্যও গড়ে তুলেছেন কর্মসংস্থান। জেলাজুড়েও আলোচিত মানুষ এখন অনিক।

গ্রামবাসী বলছেন, অনিক এখন এলাকাবাসীর স্বপ্ন। প্রতিবন্ধিকতা জয় করে হার না মানা অনিকের সাফল্যর এখন জেলাজুড়ে অনুকরণীয়। সাবলম্বী অনিক এলাকার বেকার যুবকদের জন্যও গড়ে তুলেছেন কর্মসংস্থান। এতে খুশি এখানকার মানুষও। অনিক এগিয়ে গেলে তার সুফল এলাকাবাসীও ভোগ করবে।

অনিকের বাবা কলেজ শিক্ষক মোজাহার আলী বলেন,দুই ছেলেকে নিয়েই সংসার আমার। অনেক কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখন আমার প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য গর্ব করি। তার এমন সাফল্য দেখে খুশি আমি ও এখানকার মানুষও।

অনিক মাহমুদ বলেন,কম্পিউটারের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ ছিলো। ২০১২ সালের দিকে বাড়ি থেকে হুইল চেয়ার করে কম্পিউটার শিখতে যেতাম আধা কিলোমিটার দুরে। নিজে কিছু করবো এমন সিদ্ধান্ত থেকেই একটা কম্পিউটার কিনে দোকান স্টেশনারির দোকান দিয়ে ছিলাম। এরপর ২০১৮সালের শুরু থেকে ই-শিখনের মাধ্যমে অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর তিনমাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। একই সাথে বিভিন্ন ইউিটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্স্যারের ওপর কাজ শুরু করি। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে এখন প্রতিমাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কাজ করলে সাফল্য ধরা দিবেই এটাই বিশ্বাস ছিল। আজ সাফল্য ধরা দিয়েছে।এলাকার বেকার তরুণদের জন্যও গড়ে তুলেছি কর্মসংস্থান। আগামীতেও এ কাযক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন,ইচ্ছে ছিল আমার জীবনে এমন কিছু একটা করবো। যেখানে আমার কারও কাছে কাজের জন্য যাওয়া লাগবে না বরং আমি আমার প্রতিষ্ঠানে কিছু তরুণদের চাকরি দিবো। আমি কখনো নিজেকে দুর্বল ভাবিনি। অন্যদের মতোই নিজেকে মনে করি। আর কাজ করে যাচ্ছি নিজের স্বপ্নপূরণে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
৯৮৯ Time View

হার না মানা প্রতিবন্ধী অনিকের সাফল্য!

আপডেট সময় : ১১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

প্রতিবন্ধিকতা জয় করে নিজের ইচ্ছাশক্তি আর মনবল নিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী অনিক মাহমুদ(২২)। চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। জন্ম থেকেই তার দুই পা অস্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলেও নিজেকে পিছিয়ে ফেলেননি তিনি। হুইল চেয়ারে চলাচল করেই অন্যদের মতো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিমুহুর্তে কাজ করে চলেছেন। হার না মানা অনিকের সাফল্য এখন মানুষের মুখে মুখে।

বলছিলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার প্রতিবন্ধী অনিক মাহমুদের কথা। প্রতিবন্ধিকতা জয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন সে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে প্রতিমাসে ৭০থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন অনিক। এলাকার বেকার তরুণদের জন্যও গড়ে তুলেছেন কর্মসংস্থান। জেলাজুড়েও আলোচিত মানুষ এখন অনিক।

গ্রামবাসী বলছেন, অনিক এখন এলাকাবাসীর স্বপ্ন। প্রতিবন্ধিকতা জয় করে হার না মানা অনিকের সাফল্যর এখন জেলাজুড়ে অনুকরণীয়। সাবলম্বী অনিক এলাকার বেকার যুবকদের জন্যও গড়ে তুলেছেন কর্মসংস্থান। এতে খুশি এখানকার মানুষও। অনিক এগিয়ে গেলে তার সুফল এলাকাবাসীও ভোগ করবে।

অনিকের বাবা কলেজ শিক্ষক মোজাহার আলী বলেন,দুই ছেলেকে নিয়েই সংসার আমার। অনেক কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখন আমার প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য গর্ব করি। তার এমন সাফল্য দেখে খুশি আমি ও এখানকার মানুষও।

অনিক মাহমুদ বলেন,কম্পিউটারের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ ছিলো। ২০১২ সালের দিকে বাড়ি থেকে হুইল চেয়ার করে কম্পিউটার শিখতে যেতাম আধা কিলোমিটার দুরে। নিজে কিছু করবো এমন সিদ্ধান্ত থেকেই একটা কম্পিউটার কিনে দোকান স্টেশনারির দোকান দিয়ে ছিলাম। এরপর ২০১৮সালের শুরু থেকে ই-শিখনের মাধ্যমে অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর তিনমাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। একই সাথে বিভিন্ন ইউিটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্স্যারের ওপর কাজ শুরু করি। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে এখন প্রতিমাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কাজ করলে সাফল্য ধরা দিবেই এটাই বিশ্বাস ছিল। আজ সাফল্য ধরা দিয়েছে।এলাকার বেকার তরুণদের জন্যও গড়ে তুলেছি কর্মসংস্থান। আগামীতেও এ কাযক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন,ইচ্ছে ছিল আমার জীবনে এমন কিছু একটা করবো। যেখানে আমার কারও কাছে কাজের জন্য যাওয়া লাগবে না বরং আমি আমার প্রতিষ্ঠানে কিছু তরুণদের চাকরি দিবো। আমি কখনো নিজেকে দুর্বল ভাবিনি। অন্যদের মতোই নিজেকে মনে করি। আর কাজ করে যাচ্ছি নিজের স্বপ্নপূরণে।