হাসিনাকে ফেরতের চিঠি পেয়েছে ভারত
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠি পেয়েছে ভারত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
রণধীর জয়সোয়াল চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘(হাসিনাকে) প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কিত একটি কূটনৈতিক পত্র আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আমরা হাতে পেয়েছি। তবে এ মুহূর্তে এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
এর আগে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে ঢাকা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা তাকে যে বিচারব্যবস্থার জন্য ফেরত চেয়েছি, এটা আমরা তাদের (ভারতকে) জানিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা ভারতকে নোট ভারবাল পাঠিয়েছি।
এর আগে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার পতন ঘটে। পরে তিনি জনরোষ থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। তার দলের অনেক নেতাও দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার হবে। ইতোমধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
সবুজদেশ/এসইউ