ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনাকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৯:২২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে।

 

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জন আসামিকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আদালত পুলিশের প্রতিবেদনের পর পলাতক আসামিদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

এই পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন মহানগর হাকিম জুয়েল রানা।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।

এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনসহ ২৪ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন মো. ইব্রাহীম খলিল বিপুল, মো. আব্দুস সবুর, মোছা. ছানোয়ারা খাতুন, মেহেদী হাসান আকাশ, এ কে এম আকতারুজ্জামান, কে এম রাশেদ, মোছা. মেরিনা খাতুন মেরি, সুশান্ত ভৌমিক, নিজাম বারী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিচুজ্জামান আনিচ, মো. আকরামুল আলম, মো. নুর উন নবী মন্ডল দুলাল মাস্টার্স, মো. সাইফুল ইসলাম সর্দার, কাজী আবুল কালাম, মোছা.ফেন্সী, কে এম শাহ নেওয়াজ ওরফে শিবলু, রফিকুল ইসলাম, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, মেহেদী হাসান ঈশান ওজনি চন্দ্র সূত্রধর।

সিআইডির পক্ষ থেকে এই ২৪ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। তাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে এ মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। নতুন ২৪ জনকে নিয়ে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা হল ২৫ জন।

গত ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে গত ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

১৪ অগাস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নেন কয়েকশ নেতাকর্মী। এ সময় শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সামনে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য দেন।

এতে হাসিনা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনামও রয়েছেন মামলার আসামিদের মধ্যে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

হাসিনাকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

Update Time : ০৯:২২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জন আসামিকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আদালত পুলিশের প্রতিবেদনের পর পলাতক আসামিদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

এই পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন মহানগর হাকিম জুয়েল রানা।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।

এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনসহ ২৪ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন মো. ইব্রাহীম খলিল বিপুল, মো. আব্দুস সবুর, মোছা. ছানোয়ারা খাতুন, মেহেদী হাসান আকাশ, এ কে এম আকতারুজ্জামান, কে এম রাশেদ, মোছা. মেরিনা খাতুন মেরি, সুশান্ত ভৌমিক, নিজাম বারী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিচুজ্জামান আনিচ, মো. আকরামুল আলম, মো. নুর উন নবী মন্ডল দুলাল মাস্টার্স, মো. সাইফুল ইসলাম সর্দার, কাজী আবুল কালাম, মোছা.ফেন্সী, কে এম শাহ নেওয়াজ ওরফে শিবলু, রফিকুল ইসলাম, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, মেহেদী হাসান ঈশান ওজনি চন্দ্র সূত্রধর।

সিআইডির পক্ষ থেকে এই ২৪ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। তাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে এ মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। নতুন ২৪ জনকে নিয়ে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা হল ২৫ জন।

গত ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে গত ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

১৪ অগাস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নেন কয়েকশ নেতাকর্মী। এ সময় শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সামনে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য দেন।

এতে হাসিনা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনামও রয়েছেন মামলার আসামিদের মধ্যে।

সবুজদেশ/এসএএস