ঝিনাইদহঃ

ভুয়া কাজ ও বিল ভাউচারে মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগে দুদক অভিযান চালিয়েছে। সোমবার সকালে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত অঞ্চলের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে। 

এ সময় তারা গণপূর্ত বিভাগের বিভিন্ন ফাইলপত্র অনুসন্ধান চালান এবং নতুন করে কাজ হওয়া সরকারি ভবনগুলো পরিদর্শন করেন। পরে দুপুরে দিকে তারা যশোরে ফিরে যান। তবে এ বিষয়ে দুদকের দল জানান, তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।  গণপূর্ত বিভাগের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইখ ভুয়া কাজ ও বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিভাগের প্রায় ১০ কোটি টাকা লোপাট করেন। এই ঘটনায় সবুজদেশ নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়। দুর্নীতির খবরে সোমবার সকালে দুদক ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগে উপস্থিত হয়। 

এ সময় তারা গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গণপূর্ত বিভাগের নানা অসঙ্গতি দুদকের কর্মকর্তাদের কাছে ধরা পড়ে। বিষয়টি দুদক কর্মকর্তারা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছেও জানতে চান। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের কাছে সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।

টাকা লোপাটের একই ঘটনার গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর অফিসের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রানী সাহা স্বাক্ষরিত ২৫.৩৬.০০০০.২১৩.২৭৫৫৯.১৯.১০৮৭ নং স্মারকে একটি চিঠির মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন। চিঠিতে তিনি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুলনা সার্কেলকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। 
  
এদিকে অধিদপ্তর থেকে তদন্ত আসার খবরে নতুন করে কাজ শুরু করা ও বাতিল টেন্ডারে বিল দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। 

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী শাওন হাওলাদারের কাছে নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনে রং করা ঠিকাদারের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, এই মুর্হুতে ঠিকাদারের নাম বলতে পারছি না। নির্বাহী প্রকৌশলী (কায়সার ইবনে শাঈখ) স্যারই সঠিক করে বলতে পারবেন। 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here