ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ বছর বয়সে পবিত্র কোরআন মুখস্থ কালীগঞ্জের ফায়াজের (ভিডিও)

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ফায়াজের বয়স মাত্র ১২ বছর। এ বয়সেই সে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করেছে ফায়াজ ফারদিন সানি। পবিত্র কোরআনের যেকোন পারা থেকে বলতে বললে সে তেলোয়াত করে শুনিয়ে দেয়।

কোরআনের এই হাফেজ ফায়াজ ফারদিন সানি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বসির আহমেদ বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে কালীগঞ্জ আড়পাড়ার নতুনবাজার এলাকার সাওতুল হেরা তাহফিজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে ফায়াজ ৪র্থ। ফায়াজের ছোট ভাই ফাহিমও একই মাদ্রাসায় পড়ছে। সে ১৩ পারা কোরআন মুখস্থ শেষ করে ১৪ পারা চলছে।

গত ২১ ডিসেম্বর মাগুরাতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪২জন প্রতিযোগীর মধ্যে ফায়াজ ৩য় স্থান অধিকার করে। ৪টি জেলা নিয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ পারা কোরআনের যে কোন পাতা থেকে প্রশ্ন করা হয় এবং সেটি বিচারকদের সামনে তেলোওয়াত করে শোনাতে হয়।

শিশু ফায়াজ জানায়, পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা আমার মুখস্থ। যেকোন স্থান থেকে আমি কোরআন তেলোওয়াত করে শোনাতে পারি। ভবিষ্যতে আমার বড় আলেম হওয়ার ইচ্ছা।

শিশু ফায়াজের বাবা বসির আহমেদ জানায়, আমার দুই ছেলেকে হাফেজী পড়াচ্ছি। বড় ছেলে ফায়াজ শেষ করেছে। ফাহিম এখনো পড়ছে। খুব ইচ্ছা ছিল ছেলেদের হাফেজ বানানো। আল্লাহ কবুল করেছেন।

সাওতুল হেরা তাহফিজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ফায়াজ খুব ভদ্র একটি ছেলে। খুব কম সময়ে সে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। এছাড়া সে খুব সুন্দর পবিত্র কোরআন তেলোওয়াত করতে পারে।

ভিডিও দেখুন…

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:১৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯
১৩৫৯ Time View

১২ বছর বয়সে পবিত্র কোরআন মুখস্থ কালীগঞ্জের ফায়াজের (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০২:১৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

ফায়াজের বয়স মাত্র ১২ বছর। এ বয়সেই সে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করেছে ফায়াজ ফারদিন সানি। পবিত্র কোরআনের যেকোন পারা থেকে বলতে বললে সে তেলোয়াত করে শুনিয়ে দেয়।

কোরআনের এই হাফেজ ফায়াজ ফারদিন সানি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বসির আহমেদ বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে কালীগঞ্জ আড়পাড়ার নতুনবাজার এলাকার সাওতুল হেরা তাহফিজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে ফায়াজ ৪র্থ। ফায়াজের ছোট ভাই ফাহিমও একই মাদ্রাসায় পড়ছে। সে ১৩ পারা কোরআন মুখস্থ শেষ করে ১৪ পারা চলছে।

গত ২১ ডিসেম্বর মাগুরাতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪২জন প্রতিযোগীর মধ্যে ফায়াজ ৩য় স্থান অধিকার করে। ৪টি জেলা নিয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ পারা কোরআনের যে কোন পাতা থেকে প্রশ্ন করা হয় এবং সেটি বিচারকদের সামনে তেলোওয়াত করে শোনাতে হয়।

শিশু ফায়াজ জানায়, পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা আমার মুখস্থ। যেকোন স্থান থেকে আমি কোরআন তেলোওয়াত করে শোনাতে পারি। ভবিষ্যতে আমার বড় আলেম হওয়ার ইচ্ছা।

শিশু ফায়াজের বাবা বসির আহমেদ জানায়, আমার দুই ছেলেকে হাফেজী পড়াচ্ছি। বড় ছেলে ফায়াজ শেষ করেছে। ফাহিম এখনো পড়ছে। খুব ইচ্ছা ছিল ছেলেদের হাফেজ বানানো। আল্লাহ কবুল করেছেন।

সাওতুল হেরা তাহফিজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ফায়াজ খুব ভদ্র একটি ছেলে। খুব কম সময়ে সে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। এছাড়া সে খুব সুন্দর পবিত্র কোরআন তেলোওয়াত করতে পারে।

ভিডিও দেখুন…