ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১ চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Reporter Name

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক সংকটে রয়েছে। এতে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা। মাত্র একজন চিকিৎসক থাকায় এমবিবিএস চিকিৎসকের পরিবর্তে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে জরুরি ও বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১৯৬৭ সালে ৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সেটি। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ মিলিয়ে ২১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত মাত্র একজন চিকিৎসক। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে জরুরি ও বহির্বিভাগ। কোনো কোনো সময় জরুরি বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে পাওয়া যায় না।

মালিয়াট ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কামরুন্নাহার বলেন, এমবিসিএস চিকিৎসকের পরিবর্তে জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। একই চিত্র বহির্বিভাগে। এমন নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে উপজেলার ৩ লাখ মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠিত উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে আসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসক না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় তাদের।

 

সিমলা-রোকোনপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ঠিকমতো দেখা হয় না। সেবিকারাও দেন না ঠিকমতো সেবা। আর সরকারি ওষুধ না দেয়াই রোগীদের সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, চিকিৎসক নেই। আমরা দুজন যথাসাধ্য রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, নানা সমস্যা আছে। তবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৮
৮৬৬ Time View

১ চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৮

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক সংকটে রয়েছে। এতে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা। মাত্র একজন চিকিৎসক থাকায় এমবিবিএস চিকিৎসকের পরিবর্তে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে জরুরি ও বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১৯৬৭ সালে ৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সেটি। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ মিলিয়ে ২১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত মাত্র একজন চিকিৎসক। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে জরুরি ও বহির্বিভাগ। কোনো কোনো সময় জরুরি বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে পাওয়া যায় না।

মালিয়াট ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কামরুন্নাহার বলেন, এমবিসিএস চিকিৎসকের পরিবর্তে জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। একই চিত্র বহির্বিভাগে। এমন নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে উপজেলার ৩ লাখ মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠিত উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে আসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসক না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় তাদের।

 

সিমলা-রোকোনপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ঠিকমতো দেখা হয় না। সেবিকারাও দেন না ঠিকমতো সেবা। আর সরকারি ওষুধ না দেয়াই রোগীদের সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, চিকিৎসক নেই। আমরা দুজন যথাসাধ্য রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, নানা সমস্যা আছে। তবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।