২৩ ইনিংস পর তামিমের সেঞ্চুরি, বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা
সবুজদেশ ডেস্কঃ
২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের তিন ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের ইনিংসগুলো ছিলো যথাক্রমে ১৩০*, ৫৪ ও ১০৩। তিন ম্যাচে করা এই ২৮৭ রান ছিলো বাংলাদেশের পক্ষে নির্দিষ্ট কোনো সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
বাসেতেরেতে শেষ ম্যাচে যে ১০৩ রান করেছিলেন, তামিম নিজেও হয়তো জানতেন না, পরের তিন অঙ্কের জন্য কতটা অপেক্ষা করতে হবে তাকে। এই অপেক্ষাটা দাঁড়িয়েছে সময়ের হিসেবে ১৯ মাস ও মাঠের হিসেবে ২৩ ম্যাচ।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গত ২০১৮ সালে জুলাইয়ে সেঞ্চুরির পর, আজ (মঙ্গলবার) আবার তিন অঙ্কে পৌঁছলেন তামিম। মাঝের সময়ে খেলা ২৩ ইনিংসে পাঁচবার ফিফটি করলেও, পাওয়া হয়নি সেঞ্চুরির দেখা। এরমধ্যে দুইবার আবার পৌঁছেছিলেন ৮০ রানে। তবু পাননি সেঞ্চুরি।
অবশ্য তামিমের সেঞ্চুরি নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন বা সমালোচনা ছিলো না মাঝের সময়টায়; কিন্তু তার ব্যাটিংয়ের ধরন ও অতিরিক্ত ডট বল খেলা নিয়েই যত প্রশ্ন ছিলো সমালোচকদের। চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ৪৩ বল খেলে মাত্র ২৪ রান করেছিলেন তামিম। যা উসকে দিয়েছিল নিন্দুকদের।
তাই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সোমবার দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনেও ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জিকে নিয়ে বেশ লম্বা সময় অনুশীলন করেছেন তামিম। সংবাদ মাধ্যমে ম্যাকেঞ্জি বলেছিলেন, তামিমের বর্তমান অবস্থা কাটিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে দুইটি বেশি বাউন্ডারি মারলেই হবে।
কোচের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশিই দিলেন আজ তামিম। প্রথম দশ ওভারে তার ব্যাট থেকে এলো দশ-দশটি দর্শনীয় চার। ইনিংসের তৃতীয় বলে বাউন্সারে দারুণ এক পুল করে বাউন্ডারির খাতা খোলেন তামিম। যা চলতে থাকে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন তামিম। এই অর্ধশতককে পরে নিয়ে গেলেন ১২তম সেঞ্চুরিতে। ফিফটির পর খানিক ধীর হয়েছিলেন বটে, তবে মনোযোগে ঘাটতি আসতে দেননি।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারের শেষ বলে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শন উইলিয়ামসের কভারে ঠেলে দিয়েই দুই রান নিয়ে নিজের ১২তম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান তামিম। সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেছেন ১০৬ বল, হাঁকিয়েছেন ১৪টি বাউন্ডারি। তিন অঙ্কে পৌঁছার পর তামিমের উদযাপনে ছিলো না কোনো বাড়তি কিছু। এমনকি হেলমেটও খোলেননি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ ওভারে ২৪৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।