ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৬ কোটি টাকা টেন্ডার অনিয়ম
৬ কোটি টাকা অনিয়ম: ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে মামলা
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৬ কোটি টাকা টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ঝিনাইদহ আদালতে সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ২৫০ শয্যা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে রোগীদের ঔষধ, যন্ত্রপাতি, ব্যান্ডেজ, গজ কাপড়, লিলেন কাপড়, কেমিক্যাল ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য প্রায় ৬ কোটির টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টেন্ডারে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়। বিষয়টি সাধারণ ঠিকাদাররা অংশ নিতে অযোগ্য হয়ে পড়েন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি।
এ বিষয়ে এমএস এন্টারপ্রাইজের মালিক মৌসুমি আক্তার মিথিলা বাদী হয়ে সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়ককে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। এরপরও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিনা মোহাম্মদ নবী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩১/২৫)।
মামলায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. মিথিলা ইসলাম ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুর রহমানকে ৩ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক যে শর্ত দিয়েছেন তা বিগত দিনে বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে এমন শর্ত দেয়নি। কাজে অংশ নেওয়ার জন্য ৯৬টি আইটেমের স্যাম্পল দিতে হবে। কিন্তু এই স্যাম্পল নিতে ৫/৬ লাখ টাকার খরচ হবে। যদি কাজ না পাই তাহলে পরবর্তীতে কোম্পানি থেকে নেওয়া ওই স্যাম্পল ফেরত নেবে না। ফলে এই কাজে আমরা অংশ নিতেও পারছি না।
তারা আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রাজশাহীর টোটন এন্টারপ্রাইজকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঢাকায় বসে ৮০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে তাকে কাজ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও হিসাবরক্ষক ফেরদৌস হোসেনকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মিথিলা আক্তার জানান, হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো দায় দায়িত্ব নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতেও পারবো না।
সবুজদেশ/এসএএস