ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৯ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি সংগৃহীত-

 

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে দুটি মাছ ধরার জাহাজসহ ৭৯ নাবিককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। মোংলা বন্দরের হিরন পয়েন্টের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন এলাকা হতে সোমবার দুপুরে তাদের ধরে নেওয়া হয় বলে ট্রলার মালিক পক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ওই নৌযান দুটি হলো- এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২। এফভি মেঘনা-৫সব এর মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। এফভি লায়লার মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর ফিশিং।

সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাহাজ দুটির মালিকপক্ষ। তারা জানান-এফভি লায়লা-২ ফিশিং জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামের সিদ্দিকুর রহমান। তাদের অপারেশন কোম্পানির নাম ‘এসআর ফিশিং’। এফভি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এমএ ওয়াহেদ, অপারেশন কোম্পানির নাম সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আনসারুল হক মঙ্গলবার বলেন, জাহাজের নাবিকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সবশেষ খবর পেয়েছি, জাহাজ দুটিকে ভারতের উড়িষ্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এফভি মেঘনা-৫ এ নাবিকসহ ৩৭ জন ও এফভি লায়লা-২ এ ৪২ জন জেলে ছিলেন।

তবে কী কারণে ট্রলারগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বা কেন তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।

নৌ-পরিবহণ অধিপ্ততরের মহাপরিচালক কমোডোর মাকসুদ আলম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। খতিয়ে দেখে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে এ ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু কোনো চিঠি বা অভিযোগ পাননি। ফলে ঘটনাটি কোন লোকেশনে ঘটছে তাও জানতে পারছেন না।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
১৮ Time View

৭৯ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে দুটি মাছ ধরার জাহাজসহ ৭৯ নাবিককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। মোংলা বন্দরের হিরন পয়েন্টের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন এলাকা হতে সোমবার দুপুরে তাদের ধরে নেওয়া হয় বলে ট্রলার মালিক পক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ওই নৌযান দুটি হলো- এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২। এফভি মেঘনা-৫সব এর মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। এফভি লায়লার মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর ফিশিং।

সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাহাজ দুটির মালিকপক্ষ। তারা জানান-এফভি লায়লা-২ ফিশিং জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামের সিদ্দিকুর রহমান। তাদের অপারেশন কোম্পানির নাম ‘এসআর ফিশিং’। এফভি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এমএ ওয়াহেদ, অপারেশন কোম্পানির নাম সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আনসারুল হক মঙ্গলবার বলেন, জাহাজের নাবিকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সবশেষ খবর পেয়েছি, জাহাজ দুটিকে ভারতের উড়িষ্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এফভি মেঘনা-৫ এ নাবিকসহ ৩৭ জন ও এফভি লায়লা-২ এ ৪২ জন জেলে ছিলেন।

তবে কী কারণে ট্রলারগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বা কেন তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।

নৌ-পরিবহণ অধিপ্ততরের মহাপরিচালক কমোডোর মাকসুদ আলম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। খতিয়ে দেখে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে এ ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু কোনো চিঠি বা অভিযোগ পাননি। ফলে ঘটনাটি কোন লোকেশনে ঘটছে তাও জানতে পারছেন না।

সবুজদেশ/এসইউ