ফাইল ফটো

সিলেটঃ

আগামী ৮ নভেম্বর সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য রবীন্দ্র শতবর্ষ স্মরণোৎসব উদযাপন কমিটির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া! সোমবার পরিষদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের একাংশের সভাপতি, জাসাসের উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন।

দুপুর ১টায় নগরের হাফিজ কমপ্লেক্সে আয়োজিত মতবিনিময় সভার শুরুতে সিলেটে রবীন্দ্রনাথ আগমনের শতবার্ষিকীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক অর্থমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ সময় উদযাপন পরিষদ গৃহিত কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণ পাঠ করে শোনানোর জন্য যুগ্ম সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটনকে নির্দেশ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী। আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন বিস্তারিত বিবরণ মৌখিকভাবে তুলে ধরার একপর্যায়ে বলেন, ‘আপনারা জানেন, আট দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’। লিটনের এমন বক্তব্যের পর সম্মেলনস্থলে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রথমেই তীব্র প্রতিবাদ করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট একাংশের যুগ্ম-সম্পাদক ও থিয়েটার ৭১ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ বাদশা গাজী ও জাতীয় শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাটের সিলেট জেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ আঙ্গুর মিয়া।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে আমিনুল ইসলাম লিটনকে ধমক দিয়ে বক্তব্য বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

এদিকে লিটনের বক্তব্যের পর পরই উপস্থিত অনেকেই বলতে থাকেন- ‘ধর্মের ঢোল বাতাসে নড়ে’ ‘আমিনুল ইসলাম লিটন বকেয়া জাসাস নেতা’ তারেক রহমানকে মানপত্র প্রদান ও পাঠকারী। বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, বিএনপি নেতা সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপদেষ্টা লিটন ইত্যাদি ইত্যাদি।

এরপর এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কথা বলেন পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ভুলের ঊর্ধ্বে আমরা কেউ নই’। লিটনের অনিচ্ছাকৃত এ ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, লিটনের পক্ষ নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংস্কৃতিক সংগঠক বাদশা গাজীসহ সংস্কৃতিকর্মীরা জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে এই পরিষদ কাজ চালিয়ে গেলেও যুগ্ম সদস্য সচিব লিটন এখনও নিজের সাবেক নেত্রীকে ভুলতে পারেননি। এ অবস্থায় এত বড় আয়োজনের সফলতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। পরে তিনি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম নিতে ভুল করবেন না-এমন নিশ্চয়তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা।

উল্লেখ্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আসার শতবর্ষ উদযাপনে আট দিনব্যাপী রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণোৎসব উদযাপন শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। অনুষ্ঠানের সমাপনী দিন ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here