৯ লাখ ইয়াবা বড়ি ফেলে পালাল পাচারকারীরা
টেকনাফে নয় লাখ ইয়াবা বড়ি ফেলে পালিয়েছে পাচারকারীরা। ইয়াবা বড়ির এ চালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বিজিবি।
কক্সবাজারের টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার আড়িয়াখাল ও সাবরাং হারিয়াখালী লবণ মাঠ থেকে আজ শনিবার ভোররাতে আলাদা দুটি অভিযানে নয় লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার।
বিজিবি সূত্র জানায়, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোররাতে টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়া আড়িঁয়াখাল এলাকায় টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল অবস্থান নেয়। পরে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি চোরাকারবারি দলকে আটটি বস্তা মাথায় নিয়ে খাল পার হতে দেখামাত্রই সন্দেহ হওয়ায় টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করা হয়। একপর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের মাথায় থাকা আটটি বস্তা ফেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। তাদের ফেলে যাওয়া বস্তা ভেতর থেকে ২৪ কোটি টাকার মূল্যমানের আট লাখ পিছ ইয়াবা বড়ি জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
একই দিন, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের সাবরাং তল্লাশি চৌকির নায়েক সুবেদার মো. মোক্তার হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দলের সদস্যরা সাবরাং হাড়িয়াখালী লবণ মাঠ এলাকা থেকে এক লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য তিন কোটি টাকা।
মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এটি টেকনাফে আটক করা ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালানের। উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়নে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।