আমিরাতের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত হলেন নরেন্দ্র মোদি
সবুজদেশ ডেস্কঃ
কাশ্মীর বিতর্কের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমিরাতের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রাখার জন্য মোদিকে এই বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে ‘অর্ডার অফ জায়েদ’ তুলে দেন আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আন নাহিয়ান। এ সময় মোদির গলায় সোনার মেডেল পরিয়ে দেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের এটিই সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ জায়েদ বিন সুলতানের ছবি পেছনে রেখে ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ মোদির গলায় মেডেলটি পরিয়ে দেয়ার পর তার সঙ্গে হাত মেলান ও দুই নেতা কিছুক্ষণ হাত ধরে রেখে পরস্পর মৃদুস্বরে কথা বলেন।
ছবি তোলার জন্য দাঁড়ানোর সময় শেখ মোহাম্মদ মোদিকে বলেন, ‘এটি আপনারই প্রাপ্য।’
গত এপ্রিলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদ আন নাহিয়ান জানিয়েছিলেন,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাই ‘প্রিয় বন্ধু’ মোদিকে এই সম্মাননা দেয়া হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে এই পুরস্কারটি দেয়া হয়ে থাকে। তার জন্মশতবর্ষের পুরস্কারটি পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২০১৮ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছিল। এর আগে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এবং ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফওয়েরকি ‘অর্ডার অফ জায়েদ’ পেয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যখন পাকিস্তান গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে, তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে মোদিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন ও সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো যখন কাশ্মীরে গণহত্যার আশংকা করছেন, ঠিক সে সময়ে মোদিকে এই সম্মাননা দেয়ার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ভারত কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।