ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংকের পিয়নের আলিশান বাড়ি-গাড়ি, সম্পদ কত?

Reporter Name

চট্টগ্রামঃ

ক্ষমতার দাপট আর অনিয়ম করে শূন্য থেকে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন চট্টগ্রামের অগ্রণী ব্যাংকের এক পিয়ন। ব্যাংকটির শীর্ষ কর্তাদের জিম্মির মাধ্যমে করে গেছেন ঋণ বাণিজ্য। একই সঙ্গে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে কর্মচারীদের পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি ও নিয়োগ সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন পিয়ন পদধারী ওই ব্যক্তি। আর এই সুযোগে নিজের জন্য সম্পদের পাহাড় গড়তে ভুল করেননি তিনি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চটগ্রাম-১-এ জমাপড়া এক অভিযোগে এমনটাই জানা গেছে।

অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া চট্টগ্রাম মহানগরের আগ্রাবাদ শাখার অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পিয়ন। বর্তমানে তিনি অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) আছেন। তবে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মচারী পরিষদ সিবিএ’র সভাপতি ও ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রয়েছেন।

ব্যাংক সূত্রে থেকে জানা গেছে, কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রামে পিয়ন হিসেবে চাকরি নেন ১৯৮৩ সালে। ওই সময় তার বেতন ছিল মাত্র ৬৬৫ টাকা। সেই থেকে চাকরি করেছেন প্রায় ৩৫ বছর। বর্তমানে তার মূল বেতন ১৫ হাজার ৮৮০ টাকা। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১ মে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। কামাল উদ্দিনের তিন পুত্রের মধ্যে দুইজন বাবার মতো চাকরি করছেন অগ্রণী ব্যাংকে। আর আরেক ছেলে লন্ডন প্রবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ব্যাংকের সামান্য পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিবিএ সভাপতি হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে নানা অনিয়ম করেছেন। প্রতিটি পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, নিয়োগ ও ঋণ বাণিজ্যে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ভুল করেননি নিজের জন্য সম্পদের পাহাড় গড়তে। চট্টগ্রাম মহানগরের কর্ণেলহাট ইস্পাহানী গেইট এলাকায় চার শতাংশ জায়গার ওপর গড়েছেন অর্কিড হাউস নামে পাঁচতলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। বর্তমানে এ জায়গার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর। পরিবারের সদস্যদের নামেও ঢাকা-চট্টগ্রামে কেনা হয়েছে জায়গা-জমি। তিনি নিজে ব্যবহার করছেন ২৫ লাখ টাকা মূল্যের এলিয়ন গাড়ি। যার নম্বর চট্টমেট্টো-গ-১১-৭৪৩৮। এ্রর বাইরে তার প্রকৃত সম্পদ আসলে কত তা এখনও জানা যায়নি।

জানা গেছে, সিবিএ সভাপতি হওয়ার সুবাধে বিভিন্ন উৎসব, ইফতার মাহফিল, বনভোজন, ম্যাগাজিন প্রকাশ, শোক দিবসসহ বিভিন্ন বাৎসরিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে একচ্ছত্রভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখা থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের চট্টগ্রামের বিভিন্ন করপোরেট শাখাসহ অন্যান্য শাখায় গত ১০ বছরে মাস্টার রোলে চাকরি করা কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগদানের সহযোগিতার নামে একেকজন থেকে ৪-৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অগ্রণী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, কামাল উদ্দিন একজন ক্ষমতালোভী সিবিএ নেতা। দীর্ঘদিন ধরে পদের দাপটে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখায় সিবিএ নেতা পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাৎসহ পদায়ন, পদোন্নতি, নিয়োগ ও ঋণ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকা অর্জন করেছেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার দুই ছেলে ও এক শ্যালককে অগ্রণী ব্যাংককে চাকরি দিয়েছেন। দুর্নীতির টাকায় এক ছেলেকে লন্ডন এবং জামাইকে ইতালি পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিবিএ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন শাখা থেকে তদবির করে শত শত ঋণ বাণিজ্য করে তার পকেটে ঢুকেছেন কোটি টাকার কমিশন। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘আমি গাড়ি ব্যবহার করি, ব্যাংকের অফিসাররাও গাড়ি ব্যবহার করেন। পিয়ন কেন অফিসারদের মতো গাড়ি হাকিয়ে চলাফেরা করবে এই জন্য কিছু কর্মকর্তার গায়ে জ্বালা ধরেছে।’

তিনি বলেন, আমার গাড়ি ব্যাংকের পার্কিংয়ে রাখতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে আমি তা মানিনি। কেন এই বৈষম্য!

কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমার কাছ থেকে ব্যাংকের অনেক ম্যানেজার টাকা ধার নিয়েছেন। পরে তা দিয়ে দিয়েছেন, মূলত তাদের কালো টাকা সাদা করতেই আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে একটা ডকুমেন্ট সৃষ্টি করেছেন।

নিজের সম্পদ সম্পর্কে বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রতি গণ্ডা ৬০ হাজার টাকায় ২ গণ্ডা জায়গা কিনেছি নগরের একেখান এলাকায়। পরে ওই জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করি। আমার এক ছেলে প্রবাসী, তার টাকায় প্রাইভেট কার কিনেছি। তাছাড়া ২০০৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। পরেরবার সভাপতি নির্বাচিত হই।

দুই ছেলে এবং শ্যালককে চাকরি দেয়ার কথা স্বীকার করে কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, এদেরকে দৈনিক ৫৫৫ টাকা হারে সিসি (প্লেস) লোনের বিপরীতে ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। এদের বেতনের টাকা সিসি (প্লেস) লোনের বিপরীতে বিএসআরএম ও এপেক্স গ্রুপ পরিশোধ করছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন কামাল উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে দুদককে দেয়া অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের প্রক্রিয়ায় আছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯
১২৩৮ Time View

ব্যাংকের পিয়নের আলিশান বাড়ি-গাড়ি, সম্পদ কত?

আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯

চট্টগ্রামঃ

ক্ষমতার দাপট আর অনিয়ম করে শূন্য থেকে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন চট্টগ্রামের অগ্রণী ব্যাংকের এক পিয়ন। ব্যাংকটির শীর্ষ কর্তাদের জিম্মির মাধ্যমে করে গেছেন ঋণ বাণিজ্য। একই সঙ্গে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে কর্মচারীদের পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি ও নিয়োগ সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন পিয়ন পদধারী ওই ব্যক্তি। আর এই সুযোগে নিজের জন্য সম্পদের পাহাড় গড়তে ভুল করেননি তিনি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চটগ্রাম-১-এ জমাপড়া এক অভিযোগে এমনটাই জানা গেছে।

অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া চট্টগ্রাম মহানগরের আগ্রাবাদ শাখার অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পিয়ন। বর্তমানে তিনি অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) আছেন। তবে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মচারী পরিষদ সিবিএ’র সভাপতি ও ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রয়েছেন।

ব্যাংক সূত্রে থেকে জানা গেছে, কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রামে পিয়ন হিসেবে চাকরি নেন ১৯৮৩ সালে। ওই সময় তার বেতন ছিল মাত্র ৬৬৫ টাকা। সেই থেকে চাকরি করেছেন প্রায় ৩৫ বছর। বর্তমানে তার মূল বেতন ১৫ হাজার ৮৮০ টাকা। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১ মে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। কামাল উদ্দিনের তিন পুত্রের মধ্যে দুইজন বাবার মতো চাকরি করছেন অগ্রণী ব্যাংকে। আর আরেক ছেলে লন্ডন প্রবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ব্যাংকের সামান্য পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিবিএ সভাপতি হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে নানা অনিয়ম করেছেন। প্রতিটি পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, নিয়োগ ও ঋণ বাণিজ্যে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ভুল করেননি নিজের জন্য সম্পদের পাহাড় গড়তে। চট্টগ্রাম মহানগরের কর্ণেলহাট ইস্পাহানী গেইট এলাকায় চার শতাংশ জায়গার ওপর গড়েছেন অর্কিড হাউস নামে পাঁচতলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। বর্তমানে এ জায়গার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর। পরিবারের সদস্যদের নামেও ঢাকা-চট্টগ্রামে কেনা হয়েছে জায়গা-জমি। তিনি নিজে ব্যবহার করছেন ২৫ লাখ টাকা মূল্যের এলিয়ন গাড়ি। যার নম্বর চট্টমেট্টো-গ-১১-৭৪৩৮। এ্রর বাইরে তার প্রকৃত সম্পদ আসলে কত তা এখনও জানা যায়নি।

জানা গেছে, সিবিএ সভাপতি হওয়ার সুবাধে বিভিন্ন উৎসব, ইফতার মাহফিল, বনভোজন, ম্যাগাজিন প্রকাশ, শোক দিবসসহ বিভিন্ন বাৎসরিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে একচ্ছত্রভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখা থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের চট্টগ্রামের বিভিন্ন করপোরেট শাখাসহ অন্যান্য শাখায় গত ১০ বছরে মাস্টার রোলে চাকরি করা কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগদানের সহযোগিতার নামে একেকজন থেকে ৪-৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অগ্রণী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, কামাল উদ্দিন একজন ক্ষমতালোভী সিবিএ নেতা। দীর্ঘদিন ধরে পদের দাপটে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন শাখায় সিবিএ নেতা পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাৎসহ পদায়ন, পদোন্নতি, নিয়োগ ও ঋণ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকা অর্জন করেছেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার দুই ছেলে ও এক শ্যালককে অগ্রণী ব্যাংককে চাকরি দিয়েছেন। দুর্নীতির টাকায় এক ছেলেকে লন্ডন এবং জামাইকে ইতালি পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিবিএ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন শাখা থেকে তদবির করে শত শত ঋণ বাণিজ্য করে তার পকেটে ঢুকেছেন কোটি টাকার কমিশন। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘আমি গাড়ি ব্যবহার করি, ব্যাংকের অফিসাররাও গাড়ি ব্যবহার করেন। পিয়ন কেন অফিসারদের মতো গাড়ি হাকিয়ে চলাফেরা করবে এই জন্য কিছু কর্মকর্তার গায়ে জ্বালা ধরেছে।’

তিনি বলেন, আমার গাড়ি ব্যাংকের পার্কিংয়ে রাখতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে আমি তা মানিনি। কেন এই বৈষম্য!

কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমার কাছ থেকে ব্যাংকের অনেক ম্যানেজার টাকা ধার নিয়েছেন। পরে তা দিয়ে দিয়েছেন, মূলত তাদের কালো টাকা সাদা করতেই আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে একটা ডকুমেন্ট সৃষ্টি করেছেন।

নিজের সম্পদ সম্পর্কে বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রতি গণ্ডা ৬০ হাজার টাকায় ২ গণ্ডা জায়গা কিনেছি নগরের একেখান এলাকায়। পরে ওই জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করি। আমার এক ছেলে প্রবাসী, তার টাকায় প্রাইভেট কার কিনেছি। তাছাড়া ২০০৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। পরেরবার সভাপতি নির্বাচিত হই।

দুই ছেলে এবং শ্যালককে চাকরি দেয়ার কথা স্বীকার করে কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, এদেরকে দৈনিক ৫৫৫ টাকা হারে সিসি (প্লেস) লোনের বিপরীতে ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। এদের বেতনের টাকা সিসি (প্লেস) লোনের বিপরীতে বিএসআরএম ও এপেক্স গ্রুপ পরিশোধ করছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন কামাল উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে দুদককে দেয়া অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের প্রক্রিয়ায় আছে।