ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ডাক্তারের পরামর্শে তৈরি করা বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস সহকারির অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল

Reporter Name

কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু’র অশ্লীল ভিডিও নিয়ে এখন জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু ও শরীফা সুলতানা নামে এক নারী তারা নিজেরাই তৈরি করেছেন এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও।

হাফিজুর রহমান ডাবলু ভেড়ামারা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের অফিস সহকারী ও শরীফা সুলতানা ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে। নিজেদের সখের বসে ধারণকৃত এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিওটিই এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলা ও জেলাজুড়ে এখন এই ভিডিওটি ভাইরাল। চলছে নানান ধরনের মন্তব্য।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে ভেড়ামারা বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের কয়েকজন কর্মচারি বলেন, হাফিজুর রহমান ডাবলুর বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলায় হওয়ার কারণে এখানে তার প্রভাব রয়েছে। অফিস সহকারি পদে কর্মরত থাকলেও নিজেকে মনে করেন অফিস প্রধান হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অনৈতিক কাজ করে আসছেন তিনি। কই এতো দিন তো বলেননি তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। ধরা খাওয়ার পরই বলছেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী’র কথা। এর মধ্যে রহস্য আছে। তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

এদিকে হাফিজুর রহমান ডাবলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে উনি আমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শরীফা সুলতানা। চিকিৎসা নেওয়ার জন্যই ডাক্তারের পরামর্শে নিজেই ভিডিওটি ধারণ করেছিলাম। এ বিষয়ে দেখেন ভেড়ামারা ইউএনও’র ফেসবুকে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। কেউ আমার সম্মান খুন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন।

এ ব্যাপারে শরীফা সুলতানার সাথে মুঠোই ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে,অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু নিজেই এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও তার নিজের ফেসবুক একাউন্টে আপলোড করলে ভিডিওটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

হাফিজুর রহমান ও শরীফা সুলতানার ধারণকৃত ০৭ মিনিট, ৩৯ সেকেন্ডের একটি অশ্লীল ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষিত রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে। ভিডিওটি প্রকাশের অযোগ্য।

এ ঘটনার পর গত ০৬ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে ভেড়ামারা ইউএনও ভেড়ামারা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু’র ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তারপর থেকেই চলছে নানান ধরনের মন্তব্য। নানান ধরনের মন্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও তাদের মন্তব্যের উত্তরও ফেসবুকে দিতে দেখা গেছে। তবে ইউএনও’র এমন ফেসবুক পোস্ট প্রচার করায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ভেড়ামারার সচেতন মহল।

ভেড়ামারার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের প্রধান মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কিছু কিছু কথা শুনেছি। কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ বলেন, তাদের অশ্লীল এই ভিডিওটি অবশ্যই অনৈতিক। তবে লক্ষ টাকা খরচ করেও তারা রেহায় পাইনি। কেউ কাউকে হয়রানি করে বাণিজ্য করবে তা হবে না। সত্যিটা ফুটে উঠবে, অন্যায় হলে সবাই সবার বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার আছে। আমি ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছিলাম উভয়পক্ষকে সর্তক করার জন্য। সবার প্রতিরক্ষা পেতে আইনগত অধিকার রয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
২১৫২ Time View

এবার ডাক্তারের পরামর্শে তৈরি করা বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস সহকারির অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু’র অশ্লীল ভিডিও নিয়ে এখন জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু ও শরীফা সুলতানা নামে এক নারী তারা নিজেরাই তৈরি করেছেন এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও।

হাফিজুর রহমান ডাবলু ভেড়ামারা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের অফিস সহকারী ও শরীফা সুলতানা ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে। নিজেদের সখের বসে ধারণকৃত এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিওটিই এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলা ও জেলাজুড়ে এখন এই ভিডিওটি ভাইরাল। চলছে নানান ধরনের মন্তব্য।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে ভেড়ামারা বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের কয়েকজন কর্মচারি বলেন, হাফিজুর রহমান ডাবলুর বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলায় হওয়ার কারণে এখানে তার প্রভাব রয়েছে। অফিস সহকারি পদে কর্মরত থাকলেও নিজেকে মনে করেন অফিস প্রধান হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অনৈতিক কাজ করে আসছেন তিনি। কই এতো দিন তো বলেননি তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। ধরা খাওয়ার পরই বলছেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী’র কথা। এর মধ্যে রহস্য আছে। তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

এদিকে হাফিজুর রহমান ডাবলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে উনি আমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শরীফা সুলতানা। চিকিৎসা নেওয়ার জন্যই ডাক্তারের পরামর্শে নিজেই ভিডিওটি ধারণ করেছিলাম। এ বিষয়ে দেখেন ভেড়ামারা ইউএনও’র ফেসবুকে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। কেউ আমার সম্মান খুন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন।

এ ব্যাপারে শরীফা সুলতানার সাথে মুঠোই ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে,অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু নিজেই এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও তার নিজের ফেসবুক একাউন্টে আপলোড করলে ভিডিওটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

হাফিজুর রহমান ও শরীফা সুলতানার ধারণকৃত ০৭ মিনিট, ৩৯ সেকেন্ডের একটি অশ্লীল ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষিত রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে। ভিডিওটি প্রকাশের অযোগ্য।

এ ঘটনার পর গত ০৬ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে ভেড়ামারা ইউএনও ভেড়ামারা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান ডাবলু’র ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তারপর থেকেই চলছে নানান ধরনের মন্তব্য। নানান ধরনের মন্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও তাদের মন্তব্যের উত্তরও ফেসবুকে দিতে দেখা গেছে। তবে ইউএনও’র এমন ফেসবুক পোস্ট প্রচার করায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ভেড়ামারার সচেতন মহল।

ভেড়ামারার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দপ্তরের প্রধান মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কিছু কিছু কথা শুনেছি। কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ বলেন, তাদের অশ্লীল এই ভিডিওটি অবশ্যই অনৈতিক। তবে লক্ষ টাকা খরচ করেও তারা রেহায় পাইনি। কেউ কাউকে হয়রানি করে বাণিজ্য করবে তা হবে না। সত্যিটা ফুটে উঠবে, অন্যায় হলে সবাই সবার বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার আছে। আমি ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছিলাম উভয়পক্ষকে সর্তক করার জন্য। সবার প্রতিরক্ষা পেতে আইনগত অধিকার রয়েছে।