ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের ওপর হামলা, ভাইস-চেয়ারম্যানসহ তিনজন কারাগারে
নড়াইলঃ
নড়াইলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল মাহমুদ তুফানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আটক অন্যরা হলেন- নাজমুল হোসেন (২৫) ও মেহেদী হাসান (২৪)।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তুফানসহ ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
নড়াইল ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (অপারেশন) জিহাদ হাসান জানান, রোববার সন্ধ্যায় নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনাল ট্রাফিক মোড় সড়কে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোর সময় এক তরুণকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। কাগজপত্রহীন গাড়িটি পুলিশ না ছাড়ায় ওই তরুণ উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানকে জানায়।
পরে ভাইস-চেয়ারম্যান তুফান ফোন করলে গাড়িটি ছেড়ে দিতে বললে ট্রাফিক পুলিশ অপারগতা প্রকাশ করে। এর পর তুফান ৭/৮ জন লোক নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. মনিরুজ্জামান, ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহ জালাল, টিএসআই সরোয়ার আলম এবং কনস্টেবল নজরুল আহত হন। আহত মনিরুজ্জামান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টরসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আহত ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ৯ জনের নামে রোববার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মামলার আসামি সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফানসহ তিনজনকে আটকের পর সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন সড়কে তরুণদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাফিকসহ গোয়েন্দা পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে রোববারও যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ বিভাগ।