ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকাঃ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪র্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিতা কেটে রাজহংসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি উড়োজাহাজটি ঘুরে দেখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমানের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, বিমান সচিব মহিবুল হক, বিমানের এমডি মোকাব্বের হোসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশ বিমানের বহরে চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭/৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ যুক্ত হয়। এটি জাতীয় পতাকাবাহী ১৬তম বিমান।
বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিমান কারখানা থেকে ওই দিনই বিকালে সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জলকামান স্যাল্যুট জানিয়ে বিমানবন্দর থেকে ড্রিমলাইনারটি গ্রহণ করেন।
এর আগে, গত বছরের আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে প্রথম ও দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশ বীনা’ ও ‘হংসবলাকা’ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। গত জুলাই মাসে তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ ঢাকায় অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড্রিমলাইনারগুলোর নাম রাখেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করে।
চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং ইতোমধ্যেই চারটি ৭৭৭-৩০০ইআর ও দু’টি ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি ড্রিমলাইনার বিমানকে হস্তান্তর করেছে।
২৭১ আসনের ‘রাজহংস’ বোয়িং ৭৮৭-৮ কে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানী সাশ্রয়ী বিমান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বিমানটি ঘন্টায় ৬৫০ মাইল বেগে একটানা ১৬ ঘন্টা উড়তে পারবে।
বিমানটি ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওয়াইফাই পরিষেবা দেবে। এর ফলে যাত্রীরা আকাশ থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের যে কোন স্থানে তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।