ঢাবিতে সাংবাদিকদের মারধর ছাত্রলীগের, কেড়ে নিয়েছে মোবাইল
ঢাবিঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারীরা। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। মারধর করে তাদের মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
মারধরের শিকার সাংবাদিকরা হলেন, স্টুডেন্ট জার্নালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আনিসুর রহমান ও বিজনেস বাংলাদেশের প্রতিনিধি আফসার মুন্না, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি রাহাতুল ইসলাম। তাদেরকে বেধড়ক মারধর করেন সনজিতের অনুসারীরা।
আনিসুর রহমানের ফোন সনজিত নিজে কেড়ে নেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগ নেতা সনজিত আনিসুর রহমানকে চড় থাপ্পড় মারেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিসুর রহমান জানান, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের কর্মীদের ডাচের সামনে বেধড়ক মারধর করছিল। সামনে মারধর করায় আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে ভিডিও করার জন্য আমি আমার ফোন বের করি। কিন্তু ফোন বের করতেই সনজিতের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে সনজিত দৌড়ে এসে আমাকে চড়-থাপ্পর মারতে থাকে। এসময় সূর্যসেন হলের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান, হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শপু, সদস্য সাব্বির হাসান শোভন, হলের সভাপতি প্রার্থী নাহিদ হাসান, আমাকে মারধর করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে সনজিত দৌড়ে এসে আমাকে মারতে থাকে। এসময় তিনি আমার ফোন কেড়ে নেন।’
আফসার মুন্না বলেন, ‘আমি ও আমার বন্ধুরা টিএসসিতে বসে ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রদলের উপর। আমি ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হোসাইন মুহাম্মদ আপেল, ঢাবি শাখার উপ প্রচার সম্পাদক মহসিন তালুকদারসহ আরো অনেকে আমাকে ঘিরে মারধর শুরু করে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।