ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ায় শিক্ষকদের হুমকি দিলেন ছাত্রলীগ নেতা

Reporter Name

যশোরঃ

যশোর সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বর্তমানে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে দিতে সুপারিশ করেছিলেন।

ছয় মাস পরে জানতে পারেন সেই শিক্ষার্থী সি গ্রেড দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে যান রাশেদ খান মেনন। সেখানে মাস্টার্স পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিল। কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিভাগের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি কৈফিয়ত চান কেন সুপারিশ করা ওই শিক্ষার্থীকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। তার দলবলের আচরণে আতংকিত হয়ে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে রাশেদ খান শিক্ষকদের টেবিল চাপড়ে গালিগালাজ করেন। এই ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, রাশেদ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। সে বেশ কয়েকজনের ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু একজনের বিষয়ে সুপারিশ রাখা সম্ভব হয়নি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে বিভাগে এসে গালিগালাজ করলো। তখন মাস্টার্স পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিল। বর্হিশিক্ষকের উপস্থিতিতে এভাবে গালিগালাজের ঘটনায় আমরা খুবই লজ্জিত।

জানতে চাইলে এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়া একদল ছেলে ভূগোল বিভাগে গিয়েছিল। খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দিই। শিক্ষকরা বললো ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর হেরফের হওয়ায় কিছু ছেলে এসেছিল। তেমন কিছু হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া বলেন, শিক্ষককের গালিগালাজ ও ভাংচুর করেছে কি না জানি না। তবে একটু বাকবিতন্ডা হয়েছে। শিক্ষকদের কেউ আমার কাছে অভিযোগ

অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ খান বলেন, প্রিন্সিপ্যার স্যার তো সেখানে ছিল। তার সামনে কথা হয়েছে। তেমন কিছু হয়নি। আপনি এসে প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী নয়, রিলেটিভ এক ছোট ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করেছিলাম।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:২৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
২৯৫ Time View

পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ায় শিক্ষকদের হুমকি দিলেন ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় : ০৬:২৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

যশোরঃ

যশোর সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বর্তমানে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে দিতে সুপারিশ করেছিলেন।

ছয় মাস পরে জানতে পারেন সেই শিক্ষার্থী সি গ্রেড দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে যান রাশেদ খান মেনন। সেখানে মাস্টার্স পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিল। কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিভাগের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি কৈফিয়ত চান কেন সুপারিশ করা ওই শিক্ষার্থীকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। তার দলবলের আচরণে আতংকিত হয়ে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে রাশেদ খান শিক্ষকদের টেবিল চাপড়ে গালিগালাজ করেন। এই ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, রাশেদ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। সে বেশ কয়েকজনের ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু একজনের বিষয়ে সুপারিশ রাখা সম্ভব হয়নি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে বিভাগে এসে গালিগালাজ করলো। তখন মাস্টার্স পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিল। বর্হিশিক্ষকের উপস্থিতিতে এভাবে গালিগালাজের ঘটনায় আমরা খুবই লজ্জিত।

জানতে চাইলে এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়া একদল ছেলে ভূগোল বিভাগে গিয়েছিল। খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দিই। শিক্ষকরা বললো ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর হেরফের হওয়ায় কিছু ছেলে এসেছিল। তেমন কিছু হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া বলেন, শিক্ষককের গালিগালাজ ও ভাংচুর করেছে কি না জানি না। তবে একটু বাকবিতন্ডা হয়েছে। শিক্ষকদের কেউ আমার কাছে অভিযোগ

অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাশেদ খান বলেন, প্রিন্সিপ্যার স্যার তো সেখানে ছিল। তার সামনে কথা হয়েছে। তেমন কিছু হয়নি। আপনি এসে প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী নয়, রিলেটিভ এক ছোট ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করেছিলাম।