মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির সম্পদ হতে পারে বাংলাদেশের সুতপা (ভিডিও)
সবুজদেশ ডেস্কঃ
সম্প্রতি সাতক্ষীরার আশাশুনির সুতপা মণ্ডল নামের এক কিশোরীর কয়েকটি গান ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। যেগুলো বিস্মিত হয়ে শুনছিল দেশের শ্রোতারা। গান গেয়ে ভাইরাল হওয়া ক্ষুদে এই শিল্পীর নাম সুতপা মণ্ডল। তার বাবা মৃনাল কান্তি মণ্ডল ও মা সুমনা মণ্ডল। তারা থাকেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোদন্ডা গ্রামে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুতপা পড়াশোনা করছে কোদান্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
লতা মঙ্গেশকরের মতোই কণ্ঠ অভিহিত করে সুতপা মণ্ডলকে নিয়ে মেতে ওঠে দেশের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এরইমধ্যে জানা গেল কুমার বিশ্বজিৎ-এর সুরে ও কবির বকুলের লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছে সুতপা।
অনেকদিন পরে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ন্যান্সির একটি কণ্ঠ এসেছিল। সুতপা মণ্ডলকে যদি যত্ন নেওয়া হয় তাহলে আমরা আরেকটি কণ্ঠ পাবো। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনায় আসা সুতপা মণ্ডল সম্পর্কে এমনই অভিমত দিলেন কুমার বিশ্বজিৎ।
গান রেকর্ডিং এর সময় কবির ও কুমার বিশ্বজিৎ দুজনই স্টুডিওতে ছিলেন। কুমার বিশ্বজিৎ সুতপা সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি মাত্র সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে অথচ তার গলা দারুণভাবে পরিপক্ক। সাতক্ষীরার যে গ্রামে থাকে সেখানে গান শেখার মতো উন্নত সুযোগ নেই। কিন্তু সে গলায় ধারণ করেছে বিস্ময়। এটাকে ঈশ্বর প্রদত্ত বলতে হবে। তার কণ্ঠ যদি পরিচর্যা করা হয় তাহলে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি একটি নতুন কণ্ঠ পাবে।’
জনপ্রিয় এই সঙ্গীতজ্ঞ বলেন, ‘সে যেভাবে গাইছে তাকে আমি খুব কঠিন কাজ বলবো না, আবার সহজও বলবো না। আমি একদিন আগে গানটা তাকে পাঠিয়েছি। সে পরেরদিনই ঢাকা চলে এসেছে। দুইই টেকে গানটা নিয়েছি। এক টেকেই হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আরেকটা টেক নিয়েছি যদি নতুন কিছু পাই।’
সুতপার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ওর আলাদা ক্ষমতা রয়েছে। কণ্ঠে গান তুলবার ক্ষমতা। এই ক্ষমতা সবার থাকে না। আমার গানটা সে এতো দ্রুত কণ্ঠে তুলে ফেলেছে আমি অবাক হয়েছে। গানে সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম ব্যাপার ছিল সেগুলো সে দ্রুত আত্মস্থ করতে পেরেছে যেটা অনেক পেশাদার গায়ক-গায়িকার পক্ষেও সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারমধ্যে গানের ব্যকরণের যেসব বিষয়ে দেখেছি সেসব সচরাচর দেখা যায় না। অনেকদিন শেখার পরে, দীর্ঘ সময়ে পরে এসব হয় কিন্তু সুতপার কণ্ঠে এসব ঈশ্বর প্রদত্ত।’
কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমার অনুরোধ সুতপা সম্ভাবনাময়ী তাকে নিয়ে যত্রতত্র গান শুরু করে দিলেই হবে না। তার সঠিক পরিচর্যা দরকার। শুধু বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা করলে সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ওর কণ্ঠ সম্পদ, এটার যথার্থ ব্যবহার করতে হবে ইন্ডাস্ট্রিকে। ওকে দিয়ে যদি বেশি অত্যাধুনিক গান গাওয়াতে যাই তাহলে তার সুক্ষ্ম কাজগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’