ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুবলীগের দায়িত্বে কে এই চয়ন?

Reporter Name

ঢাকাঃ

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়ে সংগঠনটির কংগ্রেস আয়োজনে দায়িত্ব দেয়া হয় চয়ন ইসলাম ও হারুনুর রশীদকে। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ সারাদেশের চেনামুখ। কিন্তু নতুন করে চয়ন ইসলাম আগ্রহের যায়গা তৈরি করেছেন। আসলে কে এই চয়ন ইসলাম?

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চর নবীপুর গ্রামের সন্তান চয়ন ইসলাম। শাহজাদপুর উপজেলা শহরেই বসবাস করে তার পরিবার।

১৯৭৭ সালে শাহজাদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন চয়ন ইসলাম। এর পর তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। সে থেকে গত দুই দশকের বেশি সময় তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে আছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে শাহজাদপুর থেকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন চয়ন ইসলাম।

তার বাবা মাজহারুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার চাচা ড. আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তিনিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।

চয়ন ইসলামের বোন মেরিনা জাহান কবিতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

চয়ন ইসলাম রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তার স্ত্রী লিলি ইসলাম গুণী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। তিনি শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। রবীন্দ্র সংগীতের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেন তিনি।

যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস আয়োজনে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে চয়ন ইসলাম বলেন, ‘অল্প সময়ে পাওয়া এই দায়িত্বে সবার আগে একটা ভালো সম্মেলন করতে চাই। যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন যতটা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে কাজ করতে চাই।’

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। এতে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে সপ্তম কংগ্রেস আয়োজনে প্রস্তুতি কমিটি করা হয়।

এ ছাড়াও যুবলীগের বয়সসীমা ৫৫ নির্ধারণ, ঢাকা মহানগরের দুই শাখার সম্মেলন কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের পর করার সিদ্ধান্ত হয়। সংগঠনের সব স্তর থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:২৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
২৯১ Time View

যুবলীগের দায়িত্বে কে এই চয়ন?

আপডেট সময় : ০৮:২৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯

ঢাকাঃ

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়ে সংগঠনটির কংগ্রেস আয়োজনে দায়িত্ব দেয়া হয় চয়ন ইসলাম ও হারুনুর রশীদকে। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ সারাদেশের চেনামুখ। কিন্তু নতুন করে চয়ন ইসলাম আগ্রহের যায়গা তৈরি করেছেন। আসলে কে এই চয়ন ইসলাম?

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চর নবীপুর গ্রামের সন্তান চয়ন ইসলাম। শাহজাদপুর উপজেলা শহরেই বসবাস করে তার পরিবার।

১৯৭৭ সালে শাহজাদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন চয়ন ইসলাম। এর পর তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। সে থেকে গত দুই দশকের বেশি সময় তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে আছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে শাহজাদপুর থেকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন চয়ন ইসলাম।

তার বাবা মাজহারুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার চাচা ড. আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তিনিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।

চয়ন ইসলামের বোন মেরিনা জাহান কবিতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

চয়ন ইসলাম রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তার স্ত্রী লিলি ইসলাম গুণী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। তিনি শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। রবীন্দ্র সংগীতের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেন তিনি।

যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস আয়োজনে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে চয়ন ইসলাম বলেন, ‘অল্প সময়ে পাওয়া এই দায়িত্বে সবার আগে একটা ভালো সম্মেলন করতে চাই। যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন যতটা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে কাজ করতে চাই।’

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। এতে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে সপ্তম কংগ্রেস আয়োজনে প্রস্তুতি কমিটি করা হয়।

এ ছাড়াও যুবলীগের বয়সসীমা ৫৫ নির্ধারণ, ঢাকা মহানগরের দুই শাখার সম্মেলন কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের পর করার সিদ্ধান্ত হয়। সংগঠনের সব স্তর থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।