ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাক সীমান্তে ২০০ সাঁজোয়া যান মোতায়েন করছে ভারত

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্তে প্রায় ২০০ সাঁজোয়া যান মোতায়েন করছে ভারত। এসব সাঁজোয়া যানে থাকবে ট্যাংক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র।

এমন তথ্য দিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা শাখা (আইডিআরডব্লিউ)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান পাক সীমান্তে ঢুকে পড়লে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে। এর আগে ভারতনিয়ন্ত্রিত অঞ্চল পুলাওয়ামায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহাম্মদের বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। এরপরই ভারতীয় পার্লামেন্টে কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চিরপ্রতিদন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে এ উত্তেজনা ছড়াতেই থাকে।

এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সীমান্ত দিয়ে পাক ড্রোন ভারতে ঢুকেছে এবং সেসব ড্রোনকে ভূপাতিত করার দাবি জানানো হয় ভারত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

এসব ঘটনার ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় যান মোতায়েনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।

আইডিআরডব্লিউ আরো জানায়, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সেই সীমান্ত অঞ্চলটি জুড়ে নদী এবং খাল রয়েছে। তাই যে ২০০ সাঁজোয়া যান মোতায়েন করতে চলেছে ভারত সেগুলোর রাস্তা বা সড়ক পথে ৫০০ এবং নদী বা খাল পথে আড়াইশ কিলোমিটার টহল দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে।

আট চাকার এসব যানকে সামরিক ভাষায় এইট ডব্লিউডি বলা হয়। সব ধরনের রাসায়নিক, জৈব এবং পরমাণু দূষণ নির্ণয়ে সক্ষম আট চাকার এ গাড়ির সব চাকাই স্টিয়ারিং হুইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এতে ট্যাংক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বা এটিজিম, ৩০ মিমি কামান এবং ৭.৬২ সম অক্ষের মেশিন গান বসানো থাকবে। কামান যে দিকে তাক করা হবে এটিও সেদিকে তাক হয়ে যাবে।

পাশাপাশি কাঁধ থেকে ছোড়ার উপযোগী ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এতে সরবরাহ করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
৪৩২ Time View

পাক সীমান্তে ২০০ সাঁজোয়া যান মোতায়েন করছে ভারত

আপডেট সময় : ০১:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্তে প্রায় ২০০ সাঁজোয়া যান মোতায়েন করছে ভারত। এসব সাঁজোয়া যানে থাকবে ট্যাংক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র।

এমন তথ্য দিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা শাখা (আইডিআরডব্লিউ)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান পাক সীমান্তে ঢুকে পড়লে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে। এর আগে ভারতনিয়ন্ত্রিত অঞ্চল পুলাওয়ামায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহাম্মদের বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। এরপরই ভারতীয় পার্লামেন্টে কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চিরপ্রতিদন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে এ উত্তেজনা ছড়াতেই থাকে।

এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সীমান্ত দিয়ে পাক ড্রোন ভারতে ঢুকেছে এবং সেসব ড্রোনকে ভূপাতিত করার দাবি জানানো হয় ভারত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

এসব ঘটনার ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় যান মোতায়েনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।

আইডিআরডব্লিউ আরো জানায়, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সেই সীমান্ত অঞ্চলটি জুড়ে নদী এবং খাল রয়েছে। তাই যে ২০০ সাঁজোয়া যান মোতায়েন করতে চলেছে ভারত সেগুলোর রাস্তা বা সড়ক পথে ৫০০ এবং নদী বা খাল পথে আড়াইশ কিলোমিটার টহল দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে।

আট চাকার এসব যানকে সামরিক ভাষায় এইট ডব্লিউডি বলা হয়। সব ধরনের রাসায়নিক, জৈব এবং পরমাণু দূষণ নির্ণয়ে সক্ষম আট চাকার এ গাড়ির সব চাকাই স্টিয়ারিং হুইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এতে ট্যাংক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বা এটিজিম, ৩০ মিমি কামান এবং ৭.৬২ সম অক্ষের মেশিন গান বসানো থাকবে। কামান যে দিকে তাক করা হবে এটিও সেদিকে তাক হয়ে যাবে।

পাশাপাশি কাঁধ থেকে ছোড়ার উপযোগী ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এতে সরবরাহ করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।