ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কারাগারে

Reporter Name

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠান। ৬ আগস্ট রমনা থানায় করা মামলায় শহিদুল আলমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

পরদিন ৭ আগস্ট শহিদুল আলমকে ৫ আগস্ট আটকের পর নির্যাতন ও রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে এবং চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। শহিদুল আলমকে ৬ আগস্ট বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তাঁর ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন। তবে শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এই দুই আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, শহিদুল আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
১০৪৮ Time View

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কারাগারে

আপডেট সময় : ১০:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠান। ৬ আগস্ট রমনা থানায় করা মামলায় শহিদুল আলমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

পরদিন ৭ আগস্ট শহিদুল আলমকে ৫ আগস্ট আটকের পর নির্যাতন ও রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে এবং চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। শহিদুল আলমকে ৬ আগস্ট বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তাঁর ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন। তবে শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এই দুই আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, শহিদুল আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।