ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খামার থেকে গরু কেনার ঝোঁক

Reporter Name

হাজারো মানুষের ভিড় ঠেলে হাটে গিয়ে কোরবানির জন্য গরু কেনা ঝামেলার। এই ঝামেলা এড়াতে নরসিংদীতে স্থানীয় খামারগুলো থেকে সরাসরি গরু কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন লোকজন।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নরসিংদী জেলার খামারিরা। তাঁরা বলছেন, ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, ঈদুল আজহা সামনে রেখে এ বছর নরসিংদী জেলায় ২৬ হাজার ৩৫৩টি গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু।

কয়েকজন খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদী জেলার খামারিরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করা এসব গরু। দেশীয় খাবার খাওয়ানো ও ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ না করায় এসব গরুর চাহিদা থাকে বেশি। এতে লাভবান হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা। ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আমদানি না হলে লোকসানের আশঙ্কা নেই বলে জানান তাঁরা।

শিবপুরের মুন্সেফের চর গ্রামের খামারি কিবরিয়া গাজী বলেন, ‘আমার খামারে এ বছর ১০০ গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। সাধারণত আমার জমিতে চাষ করা কাঁচা ঘাস আর খড়, ভুসি ও কুঁড়া খাওয়াই। ছয় মাস থেকে এক বছর আগে এসব গরু সংগ্রহ করেছিলাম। দিন দিন পশুখাদ্যের দাম বাড়ার কারণে গরু পালনে খরচ বেড়েছে। কিন্তু গরুর দাম এ বছর সেই অর্থে তুলনামূলকভাবে বাড়েনি। আমার এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে।’

মুন্সেফের চরে কিবরিয়া গাজীর খামার থেকে গত শুক্রবার বিকেলে গরু কিনেছেন মো. আজিজ। তিনি জানান, গরুর হাটের ভিড় ও দালালের ঝামেলা এখানে পোহাতে হয় না। পছন্দের গরুর দরদাম ঠিক করে গেলে ঈদের আগের দিন নিয়ে যাওয়া যায়।

পৌর এলাকার কাউরিয়া পাড়ার খামারি মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতিবছর আমদানি করা গরুর কারণে দেশীয় খামারিদের লোকসান গুনতে হয়। যাতে বিদেশি গরু আমদানি না হয়, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান গতকাল শনিবার মুঠোফোনে জানান, নরসিংদীতে গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা নেই বললেই চলে। তাই অনেকে খামারগুলো থেকে গরু কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। এরপরও পশু মোটাতাজাকরণ করতে গিয়ে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা মাঠপর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:২৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৮
৪৪৩ Time View

খামার থেকে গরু কেনার ঝোঁক

আপডেট সময় : ১১:২৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৮

হাজারো মানুষের ভিড় ঠেলে হাটে গিয়ে কোরবানির জন্য গরু কেনা ঝামেলার। এই ঝামেলা এড়াতে নরসিংদীতে স্থানীয় খামারগুলো থেকে সরাসরি গরু কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন লোকজন।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নরসিংদী জেলার খামারিরা। তাঁরা বলছেন, ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, ঈদুল আজহা সামনে রেখে এ বছর নরসিংদী জেলায় ২৬ হাজার ৩৫৩টি গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু।

কয়েকজন খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদী জেলার খামারিরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করা এসব গরু। দেশীয় খাবার খাওয়ানো ও ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ না করায় এসব গরুর চাহিদা থাকে বেশি। এতে লাভবান হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা। ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আমদানি না হলে লোকসানের আশঙ্কা নেই বলে জানান তাঁরা।

শিবপুরের মুন্সেফের চর গ্রামের খামারি কিবরিয়া গাজী বলেন, ‘আমার খামারে এ বছর ১০০ গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। সাধারণত আমার জমিতে চাষ করা কাঁচা ঘাস আর খড়, ভুসি ও কুঁড়া খাওয়াই। ছয় মাস থেকে এক বছর আগে এসব গরু সংগ্রহ করেছিলাম। দিন দিন পশুখাদ্যের দাম বাড়ার কারণে গরু পালনে খরচ বেড়েছে। কিন্তু গরুর দাম এ বছর সেই অর্থে তুলনামূলকভাবে বাড়েনি। আমার এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে।’

মুন্সেফের চরে কিবরিয়া গাজীর খামার থেকে গত শুক্রবার বিকেলে গরু কিনেছেন মো. আজিজ। তিনি জানান, গরুর হাটের ভিড় ও দালালের ঝামেলা এখানে পোহাতে হয় না। পছন্দের গরুর দরদাম ঠিক করে গেলে ঈদের আগের দিন নিয়ে যাওয়া যায়।

পৌর এলাকার কাউরিয়া পাড়ার খামারি মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতিবছর আমদানি করা গরুর কারণে দেশীয় খামারিদের লোকসান গুনতে হয়। যাতে বিদেশি গরু আমদানি না হয়, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান গতকাল শনিবার মুঠোফোনে জানান, নরসিংদীতে গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা নেই বললেই চলে। তাই অনেকে খামারগুলো থেকে গরু কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। এরপরও পশু মোটাতাজাকরণ করতে গিয়ে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা মাঠপর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে।