ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্চ মাসেই আইডি কার্ড পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা: মোজাম্মেল হক

Reporter Name

যশোরঃ

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে যুদ্ধকালীন নয় মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ঘটনাবলি নিজেদের সন্তান, আত্মীয়-স্বজনদের
কাছে তুলে ধরতে হবে। এর ব্যতয় হলে পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস ভুলে যাবে। শনিবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আগামী ২০২০ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার মুজিব বর্ষ পালন করতে যাচ্ছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ
হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৩’শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাই আগামী মার্চের মধ্যে আইডি কার্ড পাবেন, এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে বুঝে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল হাকিম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা মোহাম্মাদ ইখতেয়ার আলী, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উলাহ শরিফী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএম নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাইয়েমা হাসান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহম্মেদ প্রমুখ। দুপুরে যশোর সদর উপজেলার খাজুরায় শহীদ মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ’ উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। সে জন্য ওয়েবসাইটের পুরানো তালিকা স্থগিত করা হবে। যাচাই-বাছাই করে যারা মুক্তিযোদ্ধা নন, তাদের নাম বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার এই প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছরই ক্ষমতায় ছিল মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা গং। আর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিনবছর এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা ১৬ বছর। কিন্তু তারা দেশের জন্যে যে কাজ করেছে, তার চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচ গুণ বেশি কাজ হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, ‘জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান; আপনারা নিজ নিজ সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালোভাবে শিক্ষা দেন। তারা যদি ‘জিন্দাবাদের’ স্লোগানে লিপ্ত হয়, তাহলে আমাদের আর ইজ্জত থাকবে না।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ প্রমুখ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯
৩৩৫ Time View

মার্চ মাসেই আইডি কার্ড পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা: মোজাম্মেল হক

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

যশোরঃ

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে যুদ্ধকালীন নয় মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ঘটনাবলি নিজেদের সন্তান, আত্মীয়-স্বজনদের
কাছে তুলে ধরতে হবে। এর ব্যতয় হলে পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস ভুলে যাবে। শনিবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আগামী ২০২০ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার মুজিব বর্ষ পালন করতে যাচ্ছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ
হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৩’শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাই আগামী মার্চের মধ্যে আইডি কার্ড পাবেন, এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে বুঝে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল হাকিম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা মোহাম্মাদ ইখতেয়ার আলী, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উলাহ শরিফী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএম নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাইয়েমা হাসান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহম্মেদ প্রমুখ। দুপুরে যশোর সদর উপজেলার খাজুরায় শহীদ মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ’ উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। সে জন্য ওয়েবসাইটের পুরানো তালিকা স্থগিত করা হবে। যাচাই-বাছাই করে যারা মুক্তিযোদ্ধা নন, তাদের নাম বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার এই প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছরই ক্ষমতায় ছিল মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা গং। আর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিনবছর এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা ১৬ বছর। কিন্তু তারা দেশের জন্যে যে কাজ করেছে, তার চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচ গুণ বেশি কাজ হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, ‘জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান; আপনারা নিজ নিজ সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালোভাবে শিক্ষা দেন। তারা যদি ‘জিন্দাবাদের’ স্লোগানে লিপ্ত হয়, তাহলে আমাদের আর ইজ্জত থাকবে না।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ প্রমুখ।