ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে চাকরি দেয়ার নামে ১০ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুন্ডু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকরী দেওয়ার নাম এক আব্দুল হাকিম নামে এক যুবকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আব্দুল হাকিম সদর উপজেলার মাগুরাপাড়া গ্রামের হায়াত শেখের ছেলে।

অভিযোগ উঠেছে, বাদপুকুরিয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবু সামা চাকরী দেওয়ার নাম করে এই অর্থ হাতিয়ে নেন। টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে আব্দুল হাকিম ডকুমেন্টসহ আদালতে মামলা করেছেন, যার মামলা নং এসসি ২২৩/১৯। বাদীর অভিযোগ বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে আবু সামা ২০১৮ সালের ১০ মে ৩ জন সাক্ষির সামনে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর চাকরী না দেওয়ায় আসামী আবু সামা ২০১৮ সালের ২০ জুন ইসলামী ব্যংক ডাকবাংলা শাখার অনুকুলে ১০ লাখ টাকার একটি চেক দেন (চেক নং ১৮২৮৯৮২)। একই দিন বাদী ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে ফিরে আসেন।

বাদীর অভিযোগ আসামী অসৎ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এই চেক প্রদান করেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে না পেরে ২০১৮ সালের ২৬ জুন আসামেিক লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন বাদী আব্দুল হাকিম। কিন্তু তিনি কোন সাড়া না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ২৭ জুলাই ঝিনাইদহ শহরের সুইট হোটেলের সামনে আসামীর কাছ টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। ফলে ২৯ জুলাই আব্দুল হাকিম টাকা উদ্ধারে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের স্মরনাপন্য হন। মামলাটি বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে।

আব্দুল হাকিম অভিযোগ করেন, চাকরী প্রদানের নাম এক এ ধরণের প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। এক সঙ্গে ১০ লাখ টাকা প্রদান করায় তার পরিবারও আর্থিক সংকটে পড়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০
৪১১ Time View

ঝিনাইদহে চাকরি দেয়ার নামে ১০ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুন্ডু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকরী দেওয়ার নাম এক আব্দুল হাকিম নামে এক যুবকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আব্দুল হাকিম সদর উপজেলার মাগুরাপাড়া গ্রামের হায়াত শেখের ছেলে।

অভিযোগ উঠেছে, বাদপুকুরিয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবু সামা চাকরী দেওয়ার নাম করে এই অর্থ হাতিয়ে নেন। টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে আব্দুল হাকিম ডকুমেন্টসহ আদালতে মামলা করেছেন, যার মামলা নং এসসি ২২৩/১৯। বাদীর অভিযোগ বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে আবু সামা ২০১৮ সালের ১০ মে ৩ জন সাক্ষির সামনে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর চাকরী না দেওয়ায় আসামী আবু সামা ২০১৮ সালের ২০ জুন ইসলামী ব্যংক ডাকবাংলা শাখার অনুকুলে ১০ লাখ টাকার একটি চেক দেন (চেক নং ১৮২৮৯৮২)। একই দিন বাদী ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে ফিরে আসেন।

বাদীর অভিযোগ আসামী অসৎ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এই চেক প্রদান করেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে না পেরে ২০১৮ সালের ২৬ জুন আসামেিক লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন বাদী আব্দুল হাকিম। কিন্তু তিনি কোন সাড়া না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ২৭ জুলাই ঝিনাইদহ শহরের সুইট হোটেলের সামনে আসামীর কাছ টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। ফলে ২৯ জুলাই আব্দুল হাকিম টাকা উদ্ধারে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের স্মরনাপন্য হন। মামলাটি বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে।

আব্দুল হাকিম অভিযোগ করেন, চাকরী প্রদানের নাম এক এ ধরণের প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। এক সঙ্গে ১০ লাখ টাকা প্রদান করায় তার পরিবারও আর্থিক সংকটে পড়েছে।