কালীগঞ্জে হামলায় ৫ পুলিশ আহত, আটক ৫ (ভিডিও)
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকায় মাদরাসা ছাত্র হত্যাকান্ডের তদন্তে গিয়ে আসামিদের স্বজনদের হামলায় পুলিশের পিবিআইয়ের ৫জন সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের দাবি, তাদের মারধর করা হয়েছে। পিবিআইয়ের দুই সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই হাফিজুর রহমান, এসআই সোহেল রানা, এএসআই আব্দুল খালেক, এসআই বি এম হুমায়ুন কবির ও এএসআই জাফর।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে আটক সাব্বিরের পিতা মুশফিকুর রহমান ডাবলু ও চাচা মোস্তাক আহমেদ লাভলুসহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি তিনজনের নাম জানানো হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।
আহত পিবিআইয়ের এসআই হাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকেই এই মামলা তদন্তের জন্য আমরা আড়পাড়া এলাকায় অবস্থান করছি। হঠাৎ রাত ১০ টার দিকে ছুরি উদ্ধার হলে সাব্বিরকে ওই ছুরি দিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়ার সময় আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমাকে তারা একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে ফেলে মারধর শুরু করে। অন্য সদস্যরা আসামিদের নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আমার দুই চোখের মধ্যে আঙুল ঢুকানো হয়েছে। পিঠে ও বুকে পর্যাপ্ত কিলঘুষি মারা হয়েছে।
এরপর কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়াসহ থানার একদল পুলিশ আড়পাড়া এলাকার মুশফিকুর রহমান ডাবলুর বাসা থেকে আমাকে উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পিবিআই সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তাকে বেশ মারধর করা হয়েছে। আহত হাফিজুর রহমানকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম বলেন, কালীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যাকান্ডের তদন্তে যায় পিবিআই সদস্যরা। রাতে তাদের উপর আসামির স্বজনরা অতর্কিত হামলা করে। হামলায় ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন। দুইজন হাসপাতালে ভর্তি ও তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলার সময় হত্যাকান্ডের আলামত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং আসামিদেরও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। হামলার পর আসামি সাব্বিরের বাবা ডাবলু ও চাচা লাভলুসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।