ধর্ষণের পর কলেজছাত্রীকে হত্যা করে প্রেমিক সুব্রত
সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কলেজছাত্রী মরিয়ম খাতুনকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় প্রেমিক সুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে একথা জানান।
এর আগে শনিবার রাতে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাচড়াহাটি গ্রামের নিজবাড়ি থেকে ধর্ষক সুব্রতকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেফতারকৃত সুব্রত মন্ডল(২৪) ওই গ্রামের পরিমল মন্ডলের ছেলে। নিহত মরিয়ম খাতুন (২১) ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে ও শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রি কলেজের স্নাতক বর্ষের ছাত্রী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত শুক্রবার সকালে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের একটি বিলের মধ্যে থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পুলিশ মরিয়ম খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে মরিয়ম খাতুন তিন দিন আগে কাউকে কিছু না বলে এশার নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেখান থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় তার বাবা একটি সাধারন ডায়েরী করে। এরপর শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে তার লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, মরিয়মের সাথে সুব্রতের গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মাঝে মাঝে তাদের সাথে দেথা সাক্ষাতসহ শারীরিক সম্পর্কও হতো। গত দুই মাস ধরে মরিয়ম তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিয়ে না করলে সে সুব্রতের বাড়িতে ওঠবে বলেও জানায়। এতে সুব্রত আতঙ্ক গ্রস্ত হয়ে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই জের ধরে গত ৭ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সুব্রত মোবাইলে মরিয়মকে ডেকে বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর সে সেখানে ফেলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) জামিরুল ইসলাম ও শ্যামনগর থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।