ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে পর্ণগ্রাফী মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহে গৃহবধু কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার নগ্ন ছবি ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে আসামীর স্বজনদের বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী গৃহবধু। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে শৈলকুপা উপজেলার চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের মৃত ইয়াকুব মন্ডলের ছেলের সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের রাবেয়া আক্তারের। বিয়ের পর স্বামী সিঙ্গাপুরে পাড়ী জমান। এরপর থেকেই রাবেয়া আক্তারের ভাসুরের ছেলে ইউনুস তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ইউনুস তার নগ্ম ছবি বানিয়ে গ্রামে প্রচার করতে থাকে।

বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানে কাছে জানালেও তারা কোন সুরাহা করতে পারেনি। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় পর্ণগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলার আসামী জেল-হাজতে রয়েছে। এরপর থেকেই বাদী ও তার পরিবারকে নির্যাতন শুরু করে আসামীর স্বজনরা। বাদী ও তার চাচার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা, চুরি-ডাকাতিসহ ৩ টি মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্যাতিতা ও তার পরিবার এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা তোয়াজ উদ্দিন, আব্দুল বারিক, শরিফুল ইসলাম, আবু দাউদ, লুৎফর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০
৩৬৮ Time View

ঝিনাইদহে পর্ণগ্রাফী মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহে গৃহবধু কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার নগ্ন ছবি ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে আসামীর স্বজনদের বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী গৃহবধু। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে শৈলকুপা উপজেলার চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের মৃত ইয়াকুব মন্ডলের ছেলের সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের রাবেয়া আক্তারের। বিয়ের পর স্বামী সিঙ্গাপুরে পাড়ী জমান। এরপর থেকেই রাবেয়া আক্তারের ভাসুরের ছেলে ইউনুস তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ইউনুস তার নগ্ম ছবি বানিয়ে গ্রামে প্রচার করতে থাকে।

বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানে কাছে জানালেও তারা কোন সুরাহা করতে পারেনি। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় পর্ণগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলার আসামী জেল-হাজতে রয়েছে। এরপর থেকেই বাদী ও তার পরিবারকে নির্যাতন শুরু করে আসামীর স্বজনরা। বাদী ও তার চাচার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা, চুরি-ডাকাতিসহ ৩ টি মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্যাতিতা ও তার পরিবার এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা তোয়াজ উদ্দিন, আব্দুল বারিক, শরিফুল ইসলাম, আবু দাউদ, লুৎফর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।