ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণের ছয় লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরল চার জেলে

Reporter Name

ফাইল ফটো

সাতক্ষীরাঃ

বনদস্যুদের দাবিকৃত মুক্তিপণের ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করে বাড়ি ফিরেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চার জেলে। মুক্তিপনের টাকা দিয়ে রোববার সকালে বাড়ি ফিরে আসেন তারা।

ফিরে আসা জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামের আব্দুল্লাহ খোকনের ছেলে মিরাজ হোসেন (৩৫), সাদেক গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০), নাপিতখালী গ্রামের মকিম হালদারের ছেলে কবির (২৬) ও সিরাজুল হালদারের ছেলে রিপন হোসেন (২৬)।

মুক্তিপণের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় জিম্মি অবস্থায় ব্যাপক শারী‌রিক নির্যাতনের শিকার চার জেলেকে রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ফিরে আসা জেলে মিরাজসহ অন্যরা জানান, বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে পশ্চিম সুন্দরবনে মাছ শিকারে যায়। গত ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বনদস্যুরা নিজেদের জিয়া বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ছয়টি নৌকার ১২ জেলের মধ্যে চারজনকে উঠিয়ে নিয়ে তিন দিনের মধ্যে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। জিম্মি অবস্থায় তাদের হাত পা বেঁধে গরানের লাঠি দিয়ে পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতন করা হয়।

গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, মুক্তিপনের ছয় লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরেছে চার জেলে। নির্যাতনের কারণে ফিরে আসা জেলেরা স্বাভাবিক চলার সক্ষমতা হারিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বাড়িতে ফেরার পরপরই তাদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, আমি বাইরে থাকায় ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
৫৯১ Time View

মুক্তিপণের ছয় লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরল চার জেলে

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০

সাতক্ষীরাঃ

বনদস্যুদের দাবিকৃত মুক্তিপণের ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করে বাড়ি ফিরেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চার জেলে। মুক্তিপনের টাকা দিয়ে রোববার সকালে বাড়ি ফিরে আসেন তারা।

ফিরে আসা জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামের আব্দুল্লাহ খোকনের ছেলে মিরাজ হোসেন (৩৫), সাদেক গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০), নাপিতখালী গ্রামের মকিম হালদারের ছেলে কবির (২৬) ও সিরাজুল হালদারের ছেলে রিপন হোসেন (২৬)।

মুক্তিপণের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় জিম্মি অবস্থায় ব্যাপক শারী‌রিক নির্যাতনের শিকার চার জেলেকে রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ফিরে আসা জেলে মিরাজসহ অন্যরা জানান, বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে পশ্চিম সুন্দরবনে মাছ শিকারে যায়। গত ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বনদস্যুরা নিজেদের জিয়া বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ছয়টি নৌকার ১২ জেলের মধ্যে চারজনকে উঠিয়ে নিয়ে তিন দিনের মধ্যে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। জিম্মি অবস্থায় তাদের হাত পা বেঁধে গরানের লাঠি দিয়ে পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতন করা হয়।

গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, মুক্তিপনের ছয় লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরেছে চার জেলে। নির্যাতনের কারণে ফিরে আসা জেলেরা স্বাভাবিক চলার সক্ষমতা হারিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বাড়িতে ফেরার পরপরই তাদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, আমি বাইরে থাকায় ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।