ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাসে মারা যেতে পারে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ

Reporter Name

ফাইল ফটো

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ উজাড় হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার অন্তত তিন মাস আগেই এ ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তারা ভবিষ্যদ্বাণী করে জানিয়েছিলেন, নতুন এক ধরনের করোনা ভাইরাসে লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।

গত বছরের অক্টোবর মাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার অংশ হিসেবে এমনটাই ধারণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিখ্যাত গবেষণা কেন্দ্র জন হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটি।

মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সতর্কতার মাত্র তিন মাস পরই (এখন থেকে মাসখানেক আগে) গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের তিন হাজার বয়সী শহর উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়। সেখানে বন্যপ্রাণী কেনাবেচার একটি অবৈধ বাজার থেকে রোগ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এরপরই নিউমোনিয়া সদৃশ এ প্রাণঘাতী ভাইরাস দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে চীনের বাইরেও। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর ইউরোপ-আমেরিকা এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার নেপালেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। মহামারী ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে চীনসহ ১২ দেশে নতুন এ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অতি সংক্রামক ভাইরাসটি চীনের ৪১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার দুইশ’র বেশি। তবে ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তের সংখ্যা হাজার হাজার।

জন হপকিন্স সেন্টারের সিনিয়র গবেষক ড. এরিক টোনার বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষে ভাইরাসটি চীনে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়ার পরও তিনি মোটেই অবাক হননি।

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই মনে হয়েছে, নতুন একটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর সেটা হবে একটা করোনাভাইরাস।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে এখনও জানি না কতটা সংক্রামক এ ভাইরাসটি। আমরা জানি, এটা একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। তবে তার বিস্তার কতটুকু তা জানি না।’

এরিক টোনার আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা সার্স ভাইরাসের চেয়ে কিছুটা নমনীয়। সেটাই ভরসার জায়গা। অন্যদিকে এটা সার্সের চেয়েও বেশি সংক্রামক হতে পারে। অন্তত স্থানীয় জনপরিসরে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০
৭৪১ Time View

করোনা ভাইরাসে মারা যেতে পারে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ উজাড় হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার অন্তত তিন মাস আগেই এ ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তারা ভবিষ্যদ্বাণী করে জানিয়েছিলেন, নতুন এক ধরনের করোনা ভাইরাসে লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।

গত বছরের অক্টোবর মাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার অংশ হিসেবে এমনটাই ধারণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিখ্যাত গবেষণা কেন্দ্র জন হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটি।

মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সতর্কতার মাত্র তিন মাস পরই (এখন থেকে মাসখানেক আগে) গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের তিন হাজার বয়সী শহর উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়। সেখানে বন্যপ্রাণী কেনাবেচার একটি অবৈধ বাজার থেকে রোগ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এরপরই নিউমোনিয়া সদৃশ এ প্রাণঘাতী ভাইরাস দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে চীনের বাইরেও। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর ইউরোপ-আমেরিকা এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার নেপালেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। মহামারী ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে চীনসহ ১২ দেশে নতুন এ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অতি সংক্রামক ভাইরাসটি চীনের ৪১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার দুইশ’র বেশি। তবে ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তের সংখ্যা হাজার হাজার।

জন হপকিন্স সেন্টারের সিনিয়র গবেষক ড. এরিক টোনার বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষে ভাইরাসটি চীনে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়ার পরও তিনি মোটেই অবাক হননি।

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই মনে হয়েছে, নতুন একটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর সেটা হবে একটা করোনাভাইরাস।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে এখনও জানি না কতটা সংক্রামক এ ভাইরাসটি। আমরা জানি, এটা একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। তবে তার বিস্তার কতটুকু তা জানি না।’

এরিক টোনার আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা সার্স ভাইরাসের চেয়ে কিছুটা নমনীয়। সেটাই ভরসার জায়গা। অন্যদিকে এটা সার্সের চেয়েও বেশি সংক্রামক হতে পারে। অন্তত স্থানীয় জনপরিসরে।