সুন্দরবন থেকে উদ্ধার বাঘের মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবন থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা বাঘটির মুত্যুর কারণ জানতে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শরনখোলায় উপস্থিত হয়ে মোড়েলগজ্ঞ উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা জি এম আব্দুল কুদ্দুস বাঘটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন। এসময়ে শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সরদার মোস্তফা শাহীন, শরনখোলার সহকারী বন সংরক্ষক জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরনখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নুল আবেদীন জানান, শরণখোলা রেঞ্জের কবরখালি খালে টহলের সময় কুপিলমনির টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা সোমবার বিকালে খালের চরে বাঘটির মরদেহ দেখতে পায়। প্রায় ২০ বছর বয়সি বাঘটির মরদেহের পিছনের অংশ কুমিরে খেয়েছে। সেখান থেকে বাঘের বাকী অংশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে বাঘটি নদীর পাড়ে পানি খেতে নেমে আর সেখান থেকে উঠতে পারেনি। মরদেহটি পচে গন্ধ আসছিল। পরে উর্দ্ধতন বন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ময়না তদন্ত সম্পন্নের পর শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের পাশে মৃত বাঘটি মাটিচাপা দেয়া হয়।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা জিএম আব্দুল কুদ্দুস জানান, সকলের সামনে মৃতবাঘটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত বাঘটির অধিকাংশ শরীর পচে গেছে। রির্পোর্ট হাতে পাওয়ার পর বাঘটির সঠিক মারা যাবার কারন জানা যাবে বলে তিনি জানান।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কবরখালী খালের চর থেকে এই রয়েল বেঙ্গল টাইগারটির মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটির অর্ধেক অংশ কুমিরে খেয়েছে ও বাকী অংশ পচে গেছে। এ অবস্থায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ মঙ্গবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘটির ময়না তদন্ত করা হয়।