এক রাতে সরকারি চার অফিসে চুরি, কাগজপত্র তছনছ
বাগেরহাটঃ
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদের সরকারি তিনটি দপ্তরে চুরি ও একটিতে চেষ্টা চালিয়েছে চোরেরা। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা প্রত্যেকটি দপ্তরে ঢুকে আলমারী ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে কাগজপত্র এবং মালামাল তছনছ করেছে। লুটে নিয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ ক্ষতিগ্রস্ত অফিস পরিদর্শণ করেছেন।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন গভীর রাতে চোরচক্র প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস ও পল্লী দারিদ্র বিমোচন অফিসের দরজার কয়ড়া খুলে ভেতরে ঢুকে প্রত্যেক অফিসের আলমারী ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে ফেলে। শেষে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে ওই অফিসের নৈশপ্রহরী টের পাওয়ায় চোরেরা পালিয়ে যায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চারটি আলমারী ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করেছে। উচ্চমান সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটরের আলমারী থেকে তাদের বেতনের ৪০হাজার এবং শিক্ষা অফিসারের আলমারী থেকে দেড় হাজারসহ মোট ৪১ হাজার ৫০০টাকা নিয়ে গেছে চোরেরা।
উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মো. আবু রায়হান জানান, রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তার অফিসের দরজা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এসময় তাদের নাইটগার্ড টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে দুই চোর দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তার অফিসে পাঁচ হাজারেরও বেশি দলিল ও মূল্যবান কাগপত্র রয়েছে তার অফিসে। চোরেরা অফিসে ঢুকতে পারলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রত্যেকটি অফিসের নিজস্ব সিকিউরিটি বাড়ানোসহ দ্রুত অফিস ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। আপাতত গ্রাম পুলিশ এনে রাতে অতিরিক্ত পাহারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, চুরি হওয়া অফিসগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। চোরদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।