ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাষা শহীদের স্মরণে যশোরে ৫২’শ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

Reporter Name

যশোর প্রতিনিধিঃ

‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’। ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে যশোরবাসী স্মরণ করলেন বায়ান্নোর ভাষা শহীদদের। শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন চাঁদের হাট যশোর (২০ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার গৌরবোজ্জ্বল এ দিনটিকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানাতে যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নানা উদ্যোগ নেয়। সংগঠনটির উদ্যোগে ৫২শ’ মোমবাতি প্রজ্বালন, আলোচনাসভা, আলপনা আঁকার মধ্যে দিয়ে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির সকল শহীদের স্মরণ করে।

বৃহস্পতিবার বিকেল হতেই যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। দেখতে দেখতে ভরে ওঠে গোটা শহীদ মিনার চত্বর। গানে গানে স্মরণ করা হয় একুশের শহীদদের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রলয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

এসময় তিনি বলেন, একুশের চেতনার মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদের যে বীজ বপন করা হয়েছিল। এদেশের স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে তা পূর্ণতা পেয়েছিল। একুশ স্বাধীন একটি ভুখন্ডের প্রথম সোপান। একুশের চেতনা নিয়েই আমরা স্বাধীনতার পথে এগিয়েছি এবং দেশ স্বাধীন করেছি। তাই একুশ আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চাঁদের হাটের নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. রবিউল আলম। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান, যশোর পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, মহিলা পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য, চাঁদেরহাট যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল।

শেষ পর্বে ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে আলপনা আঁকা। রং তুলির আঁচড়ে উঠে আসে একুশের ভাষা শহীদের বিনম্র স্মরণ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, যশোর পৌরসভা ও আর আর এফ কর্তৃপক্ষ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৩৬৪ Time View

ভাষা শহীদের স্মরণে যশোরে ৫২’শ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

আপডেট সময় : ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

যশোর প্রতিনিধিঃ

‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’। ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে যশোরবাসী স্মরণ করলেন বায়ান্নোর ভাষা শহীদদের। শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন চাঁদের হাট যশোর (২০ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার গৌরবোজ্জ্বল এ দিনটিকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানাতে যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নানা উদ্যোগ নেয়। সংগঠনটির উদ্যোগে ৫২শ’ মোমবাতি প্রজ্বালন, আলোচনাসভা, আলপনা আঁকার মধ্যে দিয়ে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির সকল শহীদের স্মরণ করে।

বৃহস্পতিবার বিকেল হতেই যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। দেখতে দেখতে ভরে ওঠে গোটা শহীদ মিনার চত্বর। গানে গানে স্মরণ করা হয় একুশের শহীদদের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রলয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

এসময় তিনি বলেন, একুশের চেতনার মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদের যে বীজ বপন করা হয়েছিল। এদেশের স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে তা পূর্ণতা পেয়েছিল। একুশ স্বাধীন একটি ভুখন্ডের প্রথম সোপান। একুশের চেতনা নিয়েই আমরা স্বাধীনতার পথে এগিয়েছি এবং দেশ স্বাধীন করেছি। তাই একুশ আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চাঁদের হাটের নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. রবিউল আলম। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান, যশোর পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, মহিলা পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য, চাঁদেরহাট যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল।

শেষ পর্বে ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে আলপনা আঁকা। রং তুলির আঁচড়ে উঠে আসে একুশের ভাষা শহীদের বিনম্র স্মরণ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, যশোর পৌরসভা ও আর আর এফ কর্তৃপক্ষ।