ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চারণ কবি শামসুদ্দিনের পরিবারের খোঁজ কেউ রাখে না !

Reporter Name

এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাটঃ

“রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনও করিলিরে বাঙ্গালী, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি” এই কালজয়ী গানের রচয়িতা বাগেরহাটের চারণ কবি শামসুদ্দিন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে তিনি এই গানটি রচনা করেন। যা ভাষা অন্দোলনে গতি সঞ্চার করতে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পার হলেও আজও স্বীকৃতি মেলেনি বাগেরহাটের অজোপাড়াগায়ের চারণ কবি শামসুদ্দিনের। এমন টি তার অসহায় পরিবারের খোঁজও কেউ রাখে না।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যখন সারাদেশ উত্তাল, যখন মায়ের ভাষার জন্য বাংলার দামাল ছেলেরা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে। তখন চারণ কবি শামসুদ্দিনের হৃদয়ে অনেক বড় আঘাত লাগে। সালাম, বরকত, রফিকের সেই প্রাণদান তাকে দারুণ ভাবে বিচলিত করে। তাই সেদিন তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেননি। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য বাগেরহাটে রাস্তায় নেমে পড়েন। ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতেই স্বশিক্ষিত শামছুদ্দিন রচনা করেন ‘রাষ্ট্রভাষা’ নামে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রথম গানটি।

২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন শেষে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে নিজের লেখা বিদ্রোহের গান গেয়ে উদ্বুদ্ধ করেন ছাত্র-জনতাকে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে তার রচিত ‘রাষ্ট্রভাষা’ গান গেয়ে ভাষা অন্দোলনে গতি সঞ্চার করেন। গানটি স্বল্প সময়ে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শেষে তার রচনা করা গানটি দেশের গুণি শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয়েছে। এই গানটি এখনো সবার মুখেমুখে ফেরে।

১৯১৫ সালে বর্তমান বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহন করেন চারণ কবি শামসুদ্দিন। তার বাল্যশিক্ষা শুরু হয় বাগেরহাট টাউন স্কুলে (বর্তমান- বাগেরহাট বহুমুখি কলেজিয়েট স্কুল)। এখান থেকেই তিনি জুনিয়র পাস করেন। তবে পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে সুযোগ হয়নি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের। তাকে নেমে পড়তে হয় উপার্জনের পথে।

ছেলেবেলা থেকেই কবিতা ও গানের প্রতি অসাধারণ ঝোঁক ছিল শামছুদ্দীনের । বাল্যকাল থেকে তিনি ভক্ত ছিলেন পল্লীগীতির সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসয়ী। কেউ কেউ তাকে তেল বিক্রেতা বলে উল্লেখ করেন।

চারণ কবি শামছুদ্দীন আহমেদের বড় ছেলে শেখ দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, আমার বাবা গরীব মানুষ ছিলেন। তিনি হাটবাজারে ফেরি করে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করতেন আর গান বাঁধতেন। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার রচনা করা গান সবার মুখে মুখে। ভাষা আন্দোলনে তার যে অবদান ছিল তার স্বীকৃতি সেভাবে মেলেনি।

তিনি আরো বলেন, তার বাবা বেশির ভাগ সময় গান গেয়ে বেড়াতেন। তাই সংসারের খোজ রাখার সময় হতো না। এজন্য কবির সন্তানদের লেখাপড়া হয়নি। তিনি বলেন, কবি শামছুদ্দীন বঙ্গবন্ধুর সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগদান করেছেন। কিন্তু এখন তাদের পরিবার বড়ই অসহায়। অভাব অনাটনের মধ্যদিয়ে দিন কাটে। কেউ তাদের খবর রাখে না। এমন কি সামান্ন স্বীকৃতি টুকুও মেলেনি তার বাবার।

‘রাষ্ট্রভাষা’ গানটি চারণ কবি শামসুদ্দিন প্রথম নিজের মতো করে লোকসুরে গেয়েছিলেন। পরবর্তীতে গানটির সুর করেন শহীদ আলতাফ মাহমুদ এবং প্রথম কণ্ঠ দেন রথীন্দ্রনাথ রায়। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে লেখা হলেও গানটি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের।

১৯৭৪ সালে চারণ কবি শামসুদ্দিনের জীবনাবসান হয়। বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়কের পাশে ফতেপুর গ্রামে তার বাড়ির পাশেই শামসুদ্দিনকে সমাহিত করা হয়। স্মৃতি হিসেবে চারণ কবি শামসুদ্দিনের ব্যব‎হৃত একটি একতারা রয়েছে।

শামসুদ্দিনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছোট ছেলে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এবং বড় ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতিরা গ্রামেই বসবাস করছেন। অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েরাও পড়ালেখা শিখতে পারেনি।

স্থানীয় প্রশাসন স্বীকৃতি হিসেবে তার গ্রামের বাড়িতে যেখানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে সেই কবরটি সংরক্ষিত করে তা বাঁধিয়ে দিয়েছে। তার বাড়ির যাওয়ার রাস্তায় একটি গেট করে দেওয়া হয়।

ড. শেখ গাউস মিয়ার মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধ বাগেরহাট নামে লেখা বইটিতে শামসুদ্দিনের রচনা করা গানটি স্থান পেয়েছে।

চারণ কবি শামসুদ্দিনকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান স্থানীয়রা।

বাগেরহাট পিসি কলেজের সাবেক জিএস (১৯৬৫-৬৬) প্রবীন আইনজীবী এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলী বাবু বলেন, শামসুদ্দিনের যুগান্তকারী সেই গানের কলি,“রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনও করিলিরে বাঙ্গালী, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি” এখনও আমাদের কানে ভেসে আসে। ভাষা আন্দোলনের পরে আওয়ামী লীগের সকল অনুষ্ঠানে চারণ কবি শামসুদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হতো গান পরিবেশন করতে। মাঝে মাঝে তাকে সামান্ন সম্মনি দেয়া হতো। পরবর্তীতে অর্থাভাবে করুণ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর খুলনার মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, কবি শামসুদ্দিনকে নিয়ে বাগেরহাটবাসি গর্বিত। বর্তমান সরকার ভাষা সৈনিকদের সম্মানিত করছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। তেমনিভাবে এই কালজয়ী গানের রচয়িতা চারণ কবি শামসুদ্দিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:১৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
১১৬৩ Time View

চারণ কবি শামসুদ্দিনের পরিবারের খোঁজ কেউ রাখে না !

আপডেট সময় : ০৮:১৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাটঃ

“রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনও করিলিরে বাঙ্গালী, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি” এই কালজয়ী গানের রচয়িতা বাগেরহাটের চারণ কবি শামসুদ্দিন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে তিনি এই গানটি রচনা করেন। যা ভাষা অন্দোলনে গতি সঞ্চার করতে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পার হলেও আজও স্বীকৃতি মেলেনি বাগেরহাটের অজোপাড়াগায়ের চারণ কবি শামসুদ্দিনের। এমন টি তার অসহায় পরিবারের খোঁজও কেউ রাখে না।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যখন সারাদেশ উত্তাল, যখন মায়ের ভাষার জন্য বাংলার দামাল ছেলেরা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে। তখন চারণ কবি শামসুদ্দিনের হৃদয়ে অনেক বড় আঘাত লাগে। সালাম, বরকত, রফিকের সেই প্রাণদান তাকে দারুণ ভাবে বিচলিত করে। তাই সেদিন তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেননি। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য বাগেরহাটে রাস্তায় নেমে পড়েন। ২১শে ফেব্রুয়ারি রাতেই স্বশিক্ষিত শামছুদ্দিন রচনা করেন ‘রাষ্ট্রভাষা’ নামে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রথম গানটি।

২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন শেষে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে নিজের লেখা বিদ্রোহের গান গেয়ে উদ্বুদ্ধ করেন ছাত্র-জনতাকে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে তার রচিত ‘রাষ্ট্রভাষা’ গান গেয়ে ভাষা অন্দোলনে গতি সঞ্চার করেন। গানটি স্বল্প সময়ে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শেষে তার রচনা করা গানটি দেশের গুণি শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয়েছে। এই গানটি এখনো সবার মুখেমুখে ফেরে।

১৯১৫ সালে বর্তমান বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহন করেন চারণ কবি শামসুদ্দিন। তার বাল্যশিক্ষা শুরু হয় বাগেরহাট টাউন স্কুলে (বর্তমান- বাগেরহাট বহুমুখি কলেজিয়েট স্কুল)। এখান থেকেই তিনি জুনিয়র পাস করেন। তবে পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে সুযোগ হয়নি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের। তাকে নেমে পড়তে হয় উপার্জনের পথে।

ছেলেবেলা থেকেই কবিতা ও গানের প্রতি অসাধারণ ঝোঁক ছিল শামছুদ্দীনের । বাল্যকাল থেকে তিনি ভক্ত ছিলেন পল্লীগীতির সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসয়ী। কেউ কেউ তাকে তেল বিক্রেতা বলে উল্লেখ করেন।

চারণ কবি শামছুদ্দীন আহমেদের বড় ছেলে শেখ দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, আমার বাবা গরীব মানুষ ছিলেন। তিনি হাটবাজারে ফেরি করে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করতেন আর গান বাঁধতেন। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার রচনা করা গান সবার মুখে মুখে। ভাষা আন্দোলনে তার যে অবদান ছিল তার স্বীকৃতি সেভাবে মেলেনি।

তিনি আরো বলেন, তার বাবা বেশির ভাগ সময় গান গেয়ে বেড়াতেন। তাই সংসারের খোজ রাখার সময় হতো না। এজন্য কবির সন্তানদের লেখাপড়া হয়নি। তিনি বলেন, কবি শামছুদ্দীন বঙ্গবন্ধুর সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগদান করেছেন। কিন্তু এখন তাদের পরিবার বড়ই অসহায়। অভাব অনাটনের মধ্যদিয়ে দিন কাটে। কেউ তাদের খবর রাখে না। এমন কি সামান্ন স্বীকৃতি টুকুও মেলেনি তার বাবার।

‘রাষ্ট্রভাষা’ গানটি চারণ কবি শামসুদ্দিন প্রথম নিজের মতো করে লোকসুরে গেয়েছিলেন। পরবর্তীতে গানটির সুর করেন শহীদ আলতাফ মাহমুদ এবং প্রথম কণ্ঠ দেন রথীন্দ্রনাথ রায়। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে লেখা হলেও গানটি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের।

১৯৭৪ সালে চারণ কবি শামসুদ্দিনের জীবনাবসান হয়। বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়কের পাশে ফতেপুর গ্রামে তার বাড়ির পাশেই শামসুদ্দিনকে সমাহিত করা হয়। স্মৃতি হিসেবে চারণ কবি শামসুদ্দিনের ব্যব‎হৃত একটি একতারা রয়েছে।

শামসুদ্দিনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছোট ছেলে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এবং বড় ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতিরা গ্রামেই বসবাস করছেন। অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েরাও পড়ালেখা শিখতে পারেনি।

স্থানীয় প্রশাসন স্বীকৃতি হিসেবে তার গ্রামের বাড়িতে যেখানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে সেই কবরটি সংরক্ষিত করে তা বাঁধিয়ে দিয়েছে। তার বাড়ির যাওয়ার রাস্তায় একটি গেট করে দেওয়া হয়।

ড. শেখ গাউস মিয়ার মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধ বাগেরহাট নামে লেখা বইটিতে শামসুদ্দিনের রচনা করা গানটি স্থান পেয়েছে।

চারণ কবি শামসুদ্দিনকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান স্থানীয়রা।

বাগেরহাট পিসি কলেজের সাবেক জিএস (১৯৬৫-৬৬) প্রবীন আইনজীবী এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলী বাবু বলেন, শামসুদ্দিনের যুগান্তকারী সেই গানের কলি,“রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনও করিলিরে বাঙ্গালী, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি” এখনও আমাদের কানে ভেসে আসে। ভাষা আন্দোলনের পরে আওয়ামী লীগের সকল অনুষ্ঠানে চারণ কবি শামসুদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হতো গান পরিবেশন করতে। মাঝে মাঝে তাকে সামান্ন সম্মনি দেয়া হতো। পরবর্তীতে অর্থাভাবে করুণ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর খুলনার মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, কবি শামসুদ্দিনকে নিয়ে বাগেরহাটবাসি গর্বিত। বর্তমান সরকার ভাষা সৈনিকদের সম্মানিত করছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। তেমনিভাবে এই কালজয়ী গানের রচয়িতা চারণ কবি শামসুদ্দিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।