ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া

Reporter Name

মাগুরা প্রতিনিধিঃ

মাগুরায় শহীদ মিনারে দলীয় স্লোগান ও হাততালি দেয়ার ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে একুশের প্রথম প্রহরে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে শহরের কলেজ রোডে উভয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১২টার আগেই জেলা ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের কর্মীরা দলীয় স্লোগান দিতে দিতে শহীদ মিনারে প্রবেশ করে। কিন্তু শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু হয়ে যাওয়ার পরও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হাততালি এবং দলীয় স্লোগান অব্যাহত রাখে।

এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের প্রচার মাইক থেকে তাদের হাততালি এবং দলীয় স্লোগান বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

কিন্তু ছাত্রদল কর্মীরা তা না শুনে স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কলেজ রোডে ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এরপর কলেজ রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ভায়নার মোড় পর্যন্ত উভয় পক্ষই ইট পাটকেল ও লাঠিসোঠা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

এ অবস্থায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মাগুরা জেলা ছাত্রদল সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, ‘শহীদ মিনারে পূষ্পাঞ্জলি শেষে আমরা ফিরে আসছি। আমাদের পেছনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহমেদ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একই পথে ফিরছিলেন। এমন সময় মীর সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিএনপি নেতাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। যা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।’

ছাত্রদলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদি হাসান রুবেল বলেন,‘ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে গিয়ে ছাত্রদলের হাততালি দিয়ে উল্লাস প্রকাশের ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক। তাদের কর্মকাণ্ড ছিল খুবই উষ্কানিমূলক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বারবার নিষেধ করার পরও তারা সেটি অব্যাহত রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বিঘ্ন ঘটিয়েছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যথাসময়ে পুলিশের ভুমিকা কারণে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:২০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৩৮১ Time View

মাগুরায় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া

আপডেট সময় : ০৮:২০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মাগুরা প্রতিনিধিঃ

মাগুরায় শহীদ মিনারে দলীয় স্লোগান ও হাততালি দেয়ার ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে একুশের প্রথম প্রহরে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে শহরের কলেজ রোডে উভয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১২টার আগেই জেলা ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের কর্মীরা দলীয় স্লোগান দিতে দিতে শহীদ মিনারে প্রবেশ করে। কিন্তু শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু হয়ে যাওয়ার পরও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হাততালি এবং দলীয় স্লোগান অব্যাহত রাখে।

এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের প্রচার মাইক থেকে তাদের হাততালি এবং দলীয় স্লোগান বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

কিন্তু ছাত্রদল কর্মীরা তা না শুনে স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কলেজ রোডে ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এরপর কলেজ রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ভায়নার মোড় পর্যন্ত উভয় পক্ষই ইট পাটকেল ও লাঠিসোঠা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

এ অবস্থায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মাগুরা জেলা ছাত্রদল সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, ‘শহীদ মিনারে পূষ্পাঞ্জলি শেষে আমরা ফিরে আসছি। আমাদের পেছনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহমেদ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একই পথে ফিরছিলেন। এমন সময় মীর সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিএনপি নেতাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। যা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।’

ছাত্রদলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদি হাসান রুবেল বলেন,‘ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে গিয়ে ছাত্রদলের হাততালি দিয়ে উল্লাস প্রকাশের ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক। তাদের কর্মকাণ্ড ছিল খুবই উষ্কানিমূলক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বারবার নিষেধ করার পরও তারা সেটি অব্যাহত রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বিঘ্ন ঘটিয়েছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যথাসময়ে পুলিশের ভুমিকা কারণে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।’