ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা

Reporter Name

আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’র (আরসা) হামলার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারের অনলাইন ইরাবতীর সূত্র মতে, নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বরাবর বসিয়েছে ১৬০টিরও বেশি পুলিশ আউটপোস্ট।
পুলিশ কর্মকর্তা কর্নেল অং মাইয়াত মোই বলেছেন, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, আরসার সন্ত্রাসীরা দলে লোক জড়ো করেছে। তারা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্য জমা করেছে। সীমান্তের কাছে ওই সব লোককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আরেকটি দেশে শরণার্থী শিবির রয়েছে। সেখানে শরণার্থীর বেশ ধরে অবস্থান করছে সন্ত্রাসীরা। আমরা জানতে পেরেছি প্রচুর পরিমাণের বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক জব্দ করা হয়েছে সেখানে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রচুর মানুষকে সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই মংডু ও বুথিডাং শহর এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে টহল দিচ্ছে পুলিশ। তারা ক্রিমিনাল রেকর্ড ধরে অপরাধীদের দিকে দৃষ্টি রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ শে আগস্ট মংডু, বুথিডাং ও রাথেডাংয়ে ৩০টি পুলিশ আউটপোস্টে হামলা চালায় আরসা। আর এর জের ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর চালায় নৃশংস নির্যাতন। ওই হামলার প্রথম বার্ষিকী ২৫ শে আগস্ট শুক্রবার। আরসার ওই হামলায় এক ডজনেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী ও সরকারি কর্মচারী নিহত হন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৮
৮৬১ Time View

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা

আপডেট সময় : ০২:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৮

আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’র (আরসা) হামলার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারের অনলাইন ইরাবতীর সূত্র মতে, নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বরাবর বসিয়েছে ১৬০টিরও বেশি পুলিশ আউটপোস্ট।
পুলিশ কর্মকর্তা কর্নেল অং মাইয়াত মোই বলেছেন, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, আরসার সন্ত্রাসীরা দলে লোক জড়ো করেছে। তারা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্য জমা করেছে। সীমান্তের কাছে ওই সব লোককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আরেকটি দেশে শরণার্থী শিবির রয়েছে। সেখানে শরণার্থীর বেশ ধরে অবস্থান করছে সন্ত্রাসীরা। আমরা জানতে পেরেছি প্রচুর পরিমাণের বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক জব্দ করা হয়েছে সেখানে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রচুর মানুষকে সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই মংডু ও বুথিডাং শহর এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে টহল দিচ্ছে পুলিশ। তারা ক্রিমিনাল রেকর্ড ধরে অপরাধীদের দিকে দৃষ্টি রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ শে আগস্ট মংডু, বুথিডাং ও রাথেডাংয়ে ৩০টি পুলিশ আউটপোস্টে হামলা চালায় আরসা। আর এর জের ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর চালায় নৃশংস নির্যাতন। ওই হামলার প্রথম বার্ষিকী ২৫ শে আগস্ট শুক্রবার। আরসার ওই হামলায় এক ডজনেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী ও সরকারি কর্মচারী নিহত হন।