যুব মহিলা লীগের নেত্রী ধর্ষণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাতক
গাজীপুরঃ
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন ওই নেত্রী।
মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি পদপ্রার্থী আলী আসগর (৩৪) পলাতক। পুলিশ বুধবার রাতেই আলী আসগরের দুই বন্ধু ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন সর্দার (৩২) ও মিঠু তালুকদারকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।
ওই নেত্রী টঙ্গী থানা যুব মহিলা লীগের সম্পাদিকা বলে জানা গেছে। তবে দলে তার সাংগঠনিক কোনো পদ নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
ওই নেত্রী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি টঙ্গীতে একটি ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং স্বামীর সংসারে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের আশ্বাসে প্রধান আসামি আলী আসগরের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি আলী আসগর বন্ধুদের সহযোগিতায় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
সর্বশেষ গত ৫ ডিসেম্বর রাত ৮টায় আসগরের ভগ্নিপতি সামরুলের ভাড়া বাসায় নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য স্থানীয় তিস্তার গেট এলাকায় তাকে ডেকে নিয়ে মামলার আসামিরা মারধর করে এবং তার স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়।
এদিকে সরকারি দলের নেত্রীর এ মামলায় টঙ্গীতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনা চলছে। বিষয়টিকে রহস্যজনক মনে করছেন অনেকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের এসআই আলামিন বলেন, বিষয়টিকে আমরা এখনও ধর্ষণ বলতে পারছি না। কোনো নারী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এলে আমরা মামলা নিতে বাধ্য। এরপর তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। মামলার বাদী বা ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টসহ আনুষঙ্গিক তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পরই প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে। একজন টোকাই হত্যার ঘটনায় আলোচিত নেত্রী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও রয়েছে।