ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে মৃত বেড়ে ১১,৩৯৮

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চীন থেকে গোটা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইসে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৯৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

শুধু ইতালিতেই গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬২৭ জন। এনিয়ে দেশটিতে ৪ হাজার ৩২ জন মারা গেল। এর আগের দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪০৫ জন। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।

করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ৩৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩ হাজার ২৫৫ জন। অন্যদিকে, চীনের বাইরে মারা গেছে ৮ হাজার ১৪৩ জন।

সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ ইতালিতে। গোটা ইতালি এখন মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। দেশটির ৬ কোটি মানুষ এক অর্থে বন্দি জীবন-যাপন করছে।

করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, শপিংমল-মার্কেট, রেস্তোরাঁ-বার সব কিছুই ফাঁকা।

জাঁকজকপূর্ণ শহরগুলো এখন পরিনত হয়েছে ভূতুড়ে নগরীতে, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা চলছে সেখানে। সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর শঙ্কা।

ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে এ মহামারী প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু চীনের বাইরে ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে।

এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৯৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭১ জন।

এর মধ্যে ৯১ হাজার ৯১২ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৩ জন।

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৬১ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৬ জনের অবস্থা সাধারণ (স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে) এবং বাকি ৭ হাজার ৭৬৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার ১১ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৮৯ শতাংশ।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেইয়সুস অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০
৩০৯ Time View

করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে মৃত বেড়ে ১১,৩৯৮

আপডেট সময় : ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চীন থেকে গোটা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইসে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৯৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

শুধু ইতালিতেই গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬২৭ জন। এনিয়ে দেশটিতে ৪ হাজার ৩২ জন মারা গেল। এর আগের দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪০৫ জন। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।

করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ৩৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩ হাজার ২৫৫ জন। অন্যদিকে, চীনের বাইরে মারা গেছে ৮ হাজার ১৪৩ জন।

সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ ইতালিতে। গোটা ইতালি এখন মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। দেশটির ৬ কোটি মানুষ এক অর্থে বন্দি জীবন-যাপন করছে।

করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, শপিংমল-মার্কেট, রেস্তোরাঁ-বার সব কিছুই ফাঁকা।

জাঁকজকপূর্ণ শহরগুলো এখন পরিনত হয়েছে ভূতুড়ে নগরীতে, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা চলছে সেখানে। সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর শঙ্কা।

ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে এ মহামারী প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু চীনের বাইরে ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে।

এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৯৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭১ জন।

এর মধ্যে ৯১ হাজার ৯১২ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৩ জন।

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৬১ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৬ জনের অবস্থা সাধারণ (স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে) এবং বাকি ৭ হাজার ৭৬৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার ১১ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৮৯ শতাংশ।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেইয়সুস অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।