ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা আতঙ্কে ভিড় নেই কুষ্টিয়ায়

Reporter Name

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া শহর ও জেলার গ্রাম গঞ্জের মানুষের মাঝে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় জনসাধারণ ভিড় নেই। বিভিন্ন পরিবহন সিএনজি ও রিকশা-অটোরিকশাসহ যানবাহনের জটও নেই।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় লোকজন না থাকায় শহরটি এখন যেন ভুতুড়ে পরিবেশে পরিণত হয়েছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারনেই বেশ কয়েক দিন ধরে শহরের হোস্টেল-ছাত্রাবাস, মেস ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন শহরের ব্যস্ততম এলাকা মজমপুরের রাস্তাটি রিকশা-অটোরিকশায় জট দেখা গেলেও আজ বুধবার সকাল থেকেই তা যেন ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। চাকরিজীবী ও জনসাধারণ খুব একটা দরকার ছাড়া ঘর কিংবা এলাকা থেকে বের হচ্ছে না।

শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট,তমিজ উদ্দিন মার্কেট, ইসলামিয়া কলেজ মার্কেটসহ কোথাও মানুষের জটলা দেখা যায়নি। তবে বলতে গেলে ক্রেতাশূন্য মার্কেট গুলোতে। বিক্রেতারাও এখন শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছেন। শহরের ইসলামিয়া কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ী মেহেদী বলেন, সকাল থেকেই খালি বসে আছি। কয়েকজন এসেছেন শুধু মাস্ক কিনতে। বাজার জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থা ভাবনায় ফেলে দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সুজন বলেন, মার্কেটে এখন ক্রেতা নেই। গত কয়েকদিন আগে ভালো ক্রেতা ছিল বিক্রি ভালো হয়েছে। এখন মার্কেটটি ভুতুড়ে মনে হচ্ছে। এমন ভাবে থাকলে আমাদের সংসার চলবে না।

এদিকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৩৯ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত আসা ৭১৩ জনকে শনাক্ত করে তাদেরকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ। জেলায় প্রবাসীদের বাড়ি শনাক্তর কাজটিও করছেন পুলিশ। জেলার সবচেয়ে বেশি প্রবাসী এসেছেন দৌলতপুর উপজেলায় ৩৯৮জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ২৭০জন। এর মধ্যে ইতালি, সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০
৩৮৩ Time View

করোনা আতঙ্কে ভিড় নেই কুষ্টিয়ায়

আপডেট সময় : ০৬:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া শহর ও জেলার গ্রাম গঞ্জের মানুষের মাঝে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় জনসাধারণ ভিড় নেই। বিভিন্ন পরিবহন সিএনজি ও রিকশা-অটোরিকশাসহ যানবাহনের জটও নেই।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় লোকজন না থাকায় শহরটি এখন যেন ভুতুড়ে পরিবেশে পরিণত হয়েছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারনেই বেশ কয়েক দিন ধরে শহরের হোস্টেল-ছাত্রাবাস, মেস ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন শহরের ব্যস্ততম এলাকা মজমপুরের রাস্তাটি রিকশা-অটোরিকশায় জট দেখা গেলেও আজ বুধবার সকাল থেকেই তা যেন ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। চাকরিজীবী ও জনসাধারণ খুব একটা দরকার ছাড়া ঘর কিংবা এলাকা থেকে বের হচ্ছে না।

শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট,তমিজ উদ্দিন মার্কেট, ইসলামিয়া কলেজ মার্কেটসহ কোথাও মানুষের জটলা দেখা যায়নি। তবে বলতে গেলে ক্রেতাশূন্য মার্কেট গুলোতে। বিক্রেতারাও এখন শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছেন। শহরের ইসলামিয়া কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ী মেহেদী বলেন, সকাল থেকেই খালি বসে আছি। কয়েকজন এসেছেন শুধু মাস্ক কিনতে। বাজার জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থা ভাবনায় ফেলে দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সুজন বলেন, মার্কেটে এখন ক্রেতা নেই। গত কয়েকদিন আগে ভালো ক্রেতা ছিল বিক্রি ভালো হয়েছে। এখন মার্কেটটি ভুতুড়ে মনে হচ্ছে। এমন ভাবে থাকলে আমাদের সংসার চলবে না।

এদিকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৩৯ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত আসা ৭১৩ জনকে শনাক্ত করে তাদেরকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ। জেলায় প্রবাসীদের বাড়ি শনাক্তর কাজটিও করছেন পুলিশ। জেলার সবচেয়ে বেশি প্রবাসী এসেছেন দৌলতপুর উপজেলায় ৩৯৮জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ২৭০জন। এর মধ্যে ইতালি, সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি।