শহর ফাঁকা হলেও গ্রামের মোড়ে মোড়ে চলছে আড্ডা
এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাটঃ
বাগেরহাটে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারন ছুটির প্রথমদিনে রাস্তায় সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ, দোকানপাট বন্ধ ছিল। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতায় ফাঁকা হয়ে গেছে বাগেরহাট শহর। বৃহস্পতিবার (২৬মার্চ) সকাল থেকে শহরের দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
শহরের মিঠাপুকুর পাড়, সাধনার মোড়, শালতলা মোড় এবং নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় লোক সমাগম একেবারেই কম। বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
ক্রমেই যেন সুনশান নিরবতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে চিরচেনা ব্যস্ত শহরটি। ব্যাস্ততম সাধনার মোড়ে যেখানে প্রতিদিন লেগে থাকতো যানজট সেই এলাকাগুলো এখন প্রায় জনমানব শূন্য। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানসহ ঔষধের দোকান খোলা রয়েছে। জেলার অন্য উপজেলা সদরসহ গ্রামগুলোতে এখনও আড্ডা চলছে বলে জানাগেছে। সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩টি মোবাইল টিম সচেতনতা বাড়াতে মাঠে কাজ করেছে বলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মোঃ শাহীনুজ্জামান জানান।
বাগেরহাট শহরের রাহাতের মোড় এলাকার মোবাইল ব্যবসায়ী আবুবকর সিদ্দীক বলেন, সরকারের নির্দেশ মেনেই মার্কেটের সকল দোকান বন্ধ রেখে দোকানীরা বাড়িতে অবস্থান করছে।
অপরদিকে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দ এলাকার মোঃ শাহীন জানান, রায়েন্দা বাসস্টান্ডসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চলছে মানুষের আড্ডা। তারা প্রশাসনের আদেশ মানছে না।
রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকার মনোয়ার রনি জানান, সচেতনতার অভাবে এখনও গ্রামের মোড়ে মোড়ে আড্ডা অব্যহত রয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ জানান, মানুষ যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে রাস্তায় পুলিশি টহল রয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও বাগেরহাটে টহল অব্যহত রেখেছে বলে তিনি জানান।
জেলায় গত ২২ দিনে চার হাজারের বেশি মানুষ ভারতসহ ৩৮ দেশ থেকে বাগেরহাটে ফিরেছেন। তাদের সকলের হোম কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়নের চেস্টা চলছে।