ভারতে আটকা দুই শতাধিক সাতক্ষীরার বাসিন্দা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
করোনার কারনে লগডাউন হওয়া ভারতে আটকা পড়েছে সাতক্ষীরার দুই শতাধিক বাসিন্দা। আটকরা শ্রমজীবী মানুষ। বৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে ভারতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন তারা। ভারতের তামিলনাড়ূ থানার প্রেমতুরা গ্রামে আটকা পড়েছেন এসব বাংলাদেশী। করোনার প্রভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এসব শ্রমজীবী মানুষ।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গ্রামোর বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী আমিনুর রহমান ভারতে আটকা পড়েছেন। গত ২৫ দিন আগে কাজের কাজের জন্য ভারতে যান তিনি।
আটকা পড়া রাজমিস্ত্রী আমিনুর রহমান জানান, আমরা কাজের জন্য ভারতে এসেছিলাম। করোনার কারণে ভারতের যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছি দুই শতাধিক শ্রমজীবী মানুষ। আমাদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরায়। কেউ ঘর থেকে বাইরে যেতে পারছি না। খাবার ও টাকা ফুরিয়ে এসেছে। ভারতে বাংলাদেশীদের সহযোগীতা করার কেউ নেই। আমরা দেশে ফিরতে চাই।
রাজমিস্ত্রী আমিনুর রহমানের বাবা আবু বকর সিদ্দিকী জানান, ২০-২৫ দিন আগে ভারতে রাজমিস্ত্রীর কাজের উদ্দেশ্য গিয়েছিল। করোনার কারণে বর্তমানে কোয়াটারে ঘরের মধ্যে আটকানো রয়েছে ১৫০-২০০ শ্রমিক। ঘরের মধ্যে মধ্যে রান্না করে খাচ্ছে, বের হতে পারছে না। এক জায়গায় রয়েছে দেড়শ জন। এছাড়া আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে আরও। ছোট ছোট রুমের মধ্যে ৪-৫ জন করে মানবেতর জীবন পার করছে। সরকারের কাছে এদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি করছি। ভারতে আটকা পড়া এসব বাংলাদেশীরা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ, নলতাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
অপর দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আল আমিন জানান, আমাদের সাহায্য করেন। আমাদের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে। আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন। আমরা সাতক্ষীরায় ফিরতে চাই। আমরা যেখানে আছি এটা ভারতের তামিলনাড়ূ থানার প্রেমতুরা গ্রাম। আমাদের রুম ওনারের নাম রবিন।
ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরার দুই শতাধিক বাসিন্দা ভারতে আটকা পড়েছেন বলে শুনেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের দেশে ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।