করোনার মধ্যেই কাশ্মীরে প্রচণ্ড গোলাগুলি, ৩ সেনাসহ নিহত ১২
সবুজদেশ ডেস্কঃ
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে রোবববার পৃথক ঘটনায় ৩ সেনা এবং ৯ স্বাধীনতাকামী গেরিলা নিহত হয়েছেন।
তবে ভারতের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানান, রোববার ভোরে সেনাবাহিনীর গুলিতে পাঁচ গেরিলা নিহত হয়েছে। খবর গালফ টুডের।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত কাশ্মীরের কার্যকর সীমান্ত হিসেবে পরিচিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি কাছাকাছি উত্তরাঞ্চলীয় কেরান এলাকায় ওই পাঁচ গেরিলা নিহত হন।
সংঘর্ষে তিন সেনা নিহত এবং কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারি বাহিনী এবং স্বাধীনতাকামী গেরিলাদের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় কুলগামে বন্দুকযুদ্ধের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ লড়াই হয়। সেখানে শনিবার চার গেরিলা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের সংবিধান ৩৭০ ধারা বাতিলের পর দেশটির নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে সেখানে কেন্দ্রী সরকারের শাসন জারি করা হয়। তখন থেকেই কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
গণআন্দোলনের ভয়ে সেখানে মাসের পর পর মাস কারফিউ জারি করে রাখা হয়। কারফিউ প্রত্যাহারের পর সেখানে জমির মালিকানা অধিকার আইনে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়।
এই আইন পরিবর্তন করা হলে ভারতীয়রা কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবেন। আর এতে মুসলমান অধ্যুষিত হিমালয় অঞ্চলটিতে জনমিতির পরিবর্তন ঘটবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
করোনার প্রকোপ ঠেকাতে একশ ১৩ কোটি মানুষের দেশ ভারতে যখন ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে তখন কাশ্মিরে এ আইনের পরিবর্তন আনায় একে অনেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে দেখছেন।
গত আগস্টের ৫ তারিখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন আধা স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই কার্যত লকডাউনে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মির।
কাশ্মিরে কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা প্রেরণের পাশাপাশি, কঠোর কারফিউ বলবত করে নয়াদিল্লি । টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। কাশ্মিরের রাজনৈতিক নেতা এবং স্বাধীনতাকামীদেরকে করে গ্রেফতার।
সাত দশক আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ হওয়ার পর নয়াদিল্লি কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে মোদি এবং তার উগ্র হিন্দুবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিরোধিতা করছে।