মহেশপুরে ইছামতি নদীতে ভাসা লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ইছামতি নদীতে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের (২৭) ভেসে ওঠা একটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বিএসএফ। লাশটি মহেশপুরের খোসালপুর ও মাইলবাড়িয়া এলাকার ভারতীয় অংশ পাখিউড়া ইছামতি নদীতে ভাসছিল।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে লাশটি বাংলাদেশী না ভারতীয় নাগরিকের তা নিশ্চিত করতে পারেনি ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ বিজিবি।
এদিকে মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় কলোনী পাড়া গ্রামের আমির হোসেন (২৭) নামে এক যুবক গত সোমবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। যুবক আমির হোসেন ওই গ্রামের কালু মন্ডলের ছেলে। গ্রামবাসির ধারণা ইছামতি নদীতে পাওয়া লাশটি আমির হোসেনের বলে তারা সন্দেহ করছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর খোন্দকার আব্দুল করিম অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন রাতে শ্যামকুড় পুর্বপাড়া গ্রামের ইদু শেখের ছেলে মোমিনুর ও সাদেক আলীর ছেলে শাহানুরের নেতৃত্বে একটি চোরাকারবারী দল ভারতে গরু আনতে যায়। ওই দলে আমির হোসেন ছিল। ইউপি মেম্বরের ভাষ্যমতে নিখোঁজ আমির হোসেন তার শ্যালকের ছেলে। সীমান্তে গরু চোরাকারবারী মোমিন ও শাহানুর আমিরকে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যায় গরুর রাখাল হিসেবে। তারা আমির হোসেন ফিরে আসবে আসবে জানালে এখন দুজনাই গাঁঢাকা দিয়েছে।
সীমান্তের একটি সুত্র জানায়, ভারতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফ’র হাতে ধরা পড়ে আমির হোসেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে উদ্ধার হওয়া লাশটি শ্যামকুড় কলোনীপাড়ার আমিরের কিনা তা নিয়ে বিজিবির দায়িত্বশীল সুত্রগুলো তথ্য দিতে পারেনি।
ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ বিজিবির কমান্ডার লেঃ কর্ণেল কামরুল আহসান শনিবার এ প্রতিবেদককে জানান, ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে অজ্ঞাত একটি লাশ ভাসতে দেখে তারা বিএসএফকে খবর দেন। এরপর বিএসএফ লাশটি উদ্ধার করে। তিনি জানান, লাশটি বাংলাদেশী কারো কিনা সে বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই। কেও অভিযোগও করেনি।
মহেশপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ হক জানান, “তার এলাকার আমির হোসেন নামে একটি ছেলে গত ৪/৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। শুনেছি লাশটি তারই। কিন্তু এখনো আমরা দায়িত্বশীল সুত্র থেকে নিশ্চেত হতে পারেনি। আমি আমিরের পিতা কালু মন্ডলকে থানায় জিডি করতে বলেছি”।