ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা: খুমেকের আইসোলেশন থেকে ৫ রোগীর পলায়ন

Reporter Name

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনওয়ার্ড থেকে গত ৫ দিনে ৬ জন রোগী পালানোর ঘটনা ঘটেছে। স্বেচ্ছায় গেছেন ২ জন। সন্দেহভাজন এসব রোগী পালিয়ে গেলে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ৭ এপ্রিল থেকে রোগী ভর্তি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে যে সকল রোগী আসছে, তাদের মধ্যে করোনা সন্দেহ হলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নব নির্মিত আইসিইউ ভবনের নীচ তলায় ফ্লু কর্ণারে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। গত ৭ দিনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে ৬ জন রোগী পালিয়ে গেছে। ২ জন স্বেচ্ছায় ড্রপ আউট হয়েছে।

জানা যায়, নড়াইল লোহাগড়া এলাকার বাসিন্দা রোখসানা (২৫) গত ৯ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ১০ এপ্রিল কিছু না বলে চলে যায়। পরেরদিন ২ মাস বয়সী শিশু আশিককে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার। একই দিনে দৌলতপুর মধ্যডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শিরিন আক্তার (৫৮) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে চলে যায়। আর দিঘলিয়ার মর্জিনা (৪০) পালিয়ে যায় পরের দিনে। গত রোববার পালিয়ে যায় বাগেরহাটের জাহানারা ও সোনাডাঙ্গা এলাকার জাকির হোসেন (৪০)। এছাড়া আরও দুই জন স্বেচ্ছায় চলে যায় হাসপাতালে সেবা না নিয়ে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব রোগী করোনা সন্দেহভাজন বলেই এই ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা আর চিকিৎসা না পাওয়ার অজুহাতে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে এসব রোগী। তারা কোথায় আছে কিভাবে আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানেনা। এদের মধ্যে একজনও যদি করোনা পজেটিভ হয় তাহলে তাকে আইসোলেশন করতে না পারার কারণে ইতোমধ্যে কত মানুষকে ছড়িয়েছে এটি সহজেই অনুমেয়। সূত্র জানায়, হাসপাতালের রেগুলার ও আউটসোর্সিং এর শতাধিক কর্মচারী থাকলেও ফ্লু কর্ণারে সিকিউরিটির দায়িত্বে দেয়া হয়নি। ফলে যে সকল রোগী বর্তমানে সেখানে ভর্তি আছেন তাদের আত্মীয় স্বজনরা অনায়াসে যাতায়াত করছেন ভিতরে। এতে চরম অব্যবস্থাপনা চলছে।

খুমেকের আবাসিক ফিজিসিয়ান ও করোনা ওয়ার্ডের মূখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রণাথ বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে আমার খুব বেশি জানা নেই। পরিচালকের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার বলেন, রোগী পালিয়ে গেছে এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি। তারপরেও এমন অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০
৩৪৭ Time View

করোনা: খুমেকের আইসোলেশন থেকে ৫ রোগীর পলায়ন

আপডেট সময় : ০৭:১৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনওয়ার্ড থেকে গত ৫ দিনে ৬ জন রোগী পালানোর ঘটনা ঘটেছে। স্বেচ্ছায় গেছেন ২ জন। সন্দেহভাজন এসব রোগী পালিয়ে গেলে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ৭ এপ্রিল থেকে রোগী ভর্তি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে যে সকল রোগী আসছে, তাদের মধ্যে করোনা সন্দেহ হলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নব নির্মিত আইসিইউ ভবনের নীচ তলায় ফ্লু কর্ণারে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। গত ৭ দিনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে ৬ জন রোগী পালিয়ে গেছে। ২ জন স্বেচ্ছায় ড্রপ আউট হয়েছে।

জানা যায়, নড়াইল লোহাগড়া এলাকার বাসিন্দা রোখসানা (২৫) গত ৯ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ১০ এপ্রিল কিছু না বলে চলে যায়। পরেরদিন ২ মাস বয়সী শিশু আশিককে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার। একই দিনে দৌলতপুর মধ্যডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শিরিন আক্তার (৫৮) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে চলে যায়। আর দিঘলিয়ার মর্জিনা (৪০) পালিয়ে যায় পরের দিনে। গত রোববার পালিয়ে যায় বাগেরহাটের জাহানারা ও সোনাডাঙ্গা এলাকার জাকির হোসেন (৪০)। এছাড়া আরও দুই জন স্বেচ্ছায় চলে যায় হাসপাতালে সেবা না নিয়ে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব রোগী করোনা সন্দেহভাজন বলেই এই ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা আর চিকিৎসা না পাওয়ার অজুহাতে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে এসব রোগী। তারা কোথায় আছে কিভাবে আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানেনা। এদের মধ্যে একজনও যদি করোনা পজেটিভ হয় তাহলে তাকে আইসোলেশন করতে না পারার কারণে ইতোমধ্যে কত মানুষকে ছড়িয়েছে এটি সহজেই অনুমেয়। সূত্র জানায়, হাসপাতালের রেগুলার ও আউটসোর্সিং এর শতাধিক কর্মচারী থাকলেও ফ্লু কর্ণারে সিকিউরিটির দায়িত্বে দেয়া হয়নি। ফলে যে সকল রোগী বর্তমানে সেখানে ভর্তি আছেন তাদের আত্মীয় স্বজনরা অনায়াসে যাতায়াত করছেন ভিতরে। এতে চরম অব্যবস্থাপনা চলছে।

খুমেকের আবাসিক ফিজিসিয়ান ও করোনা ওয়ার্ডের মূখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রণাথ বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে আমার খুব বেশি জানা নেই। পরিচালকের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার বলেন, রোগী পালিয়ে গেছে এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি। তারপরেও এমন অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।