ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা মহামারিতে বিশ্বে অনাহারে মারা যেতে পারে ৩ কোটি মানুষ

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মহামারির সময় বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা দানকারী শাখা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিজলে সম্প্রতি বলেছেন, ডব্লিউএফপি বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছতে পর্যাপ্ত সহায়তা না পেলে, করোনা মহামারীর সময় মারা যাতে পারে অন্তত ৩ কোটি মানুষ। এ খবর দিয়েছে দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল।

খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সম্প্রতি সুস্থ হয়ে উঠছেন বিজলে। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে ১০ কোটি মানুষকে খাদ্য দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের আর্থিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল ডব্লিউএফপি। এদের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের জীবন রক্ষার্থে ওই খাদ্য অপরিহার্য।

করোনা ভাইরাসে বিশ্বের অর্থনীতি প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিজলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এমতাবস্থায় বিভিন্ন দেশের সরকার ডব্লিউএফপিতে অর্থায়ন কমিয়ে দিতে পারে। তেমনটা হলে, এর পরিণতি হবে হবে ভয়ানক।

তিনি বলেন, আমরা অর্থায়ন হারালে, অন্তত ৩ কোটি মানুশব মারা যেতে পারে।এই হিসাবে, তিন মাসে প্রতিদিন মরবে ৩ লাখ মানুষ। এজন্য নেতাদের উচিত করোনা মোকাবিলায় ভারসাম্য বজায় রাখে। যাতে অর্থনীতি সচল থাকে। অন্যথায় করোনার পাশাপাশি অনাহার ও অর্থনৈতিক মন্দায় অনেক মানুষ মারা যাবে।

গত ১৩ই মার্চ বিজলের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এর আগ দিয়ে বেশকিছু দেশ সফর করেন তিনি। তবে ঠিক কিভাবে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বলে জানানা এই জাতিসংঘ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ডব্লিউএফপির ৯৭ শতাংশ কর্মী এখনো মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। করোনা মহামারির সময়ে খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখছেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, কিছু দেশ থেকে বলা হচ্ছে যে, সেখানে খাদ্য সরবরাহের পর আমাদের ট্রাক ও বিমানগুলোকে অন্তত দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। জবাবে আমি বলছি, কী? এমন অনেক মানুষ আমাদের অপেক্ষায় আছে যারা এতদিন খাবার ছাড়া চলতে পারবে না। তারা মরে যাবে।

বিশ্বজুড়ে কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে, ৩৫ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। বুধবার পর্যন্ত তারা ওই অর্থের মাত্র ২০ শতাংশ পেয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০
৩৪২ Time View

করোনা মহামারিতে বিশ্বে অনাহারে মারা যেতে পারে ৩ কোটি মানুষ

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মহামারির সময় বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা দানকারী শাখা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিজলে সম্প্রতি বলেছেন, ডব্লিউএফপি বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছতে পর্যাপ্ত সহায়তা না পেলে, করোনা মহামারীর সময় মারা যাতে পারে অন্তত ৩ কোটি মানুষ। এ খবর দিয়েছে দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল।

খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সম্প্রতি সুস্থ হয়ে উঠছেন বিজলে। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে ১০ কোটি মানুষকে খাদ্য দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের আর্থিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল ডব্লিউএফপি। এদের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের জীবন রক্ষার্থে ওই খাদ্য অপরিহার্য।

করোনা ভাইরাসে বিশ্বের অর্থনীতি প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিজলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এমতাবস্থায় বিভিন্ন দেশের সরকার ডব্লিউএফপিতে অর্থায়ন কমিয়ে দিতে পারে। তেমনটা হলে, এর পরিণতি হবে হবে ভয়ানক।

তিনি বলেন, আমরা অর্থায়ন হারালে, অন্তত ৩ কোটি মানুশব মারা যেতে পারে।এই হিসাবে, তিন মাসে প্রতিদিন মরবে ৩ লাখ মানুষ। এজন্য নেতাদের উচিত করোনা মোকাবিলায় ভারসাম্য বজায় রাখে। যাতে অর্থনীতি সচল থাকে। অন্যথায় করোনার পাশাপাশি অনাহার ও অর্থনৈতিক মন্দায় অনেক মানুষ মারা যাবে।

গত ১৩ই মার্চ বিজলের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এর আগ দিয়ে বেশকিছু দেশ সফর করেন তিনি। তবে ঠিক কিভাবে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বলে জানানা এই জাতিসংঘ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ডব্লিউএফপির ৯৭ শতাংশ কর্মী এখনো মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। করোনা মহামারির সময়ে খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখছেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, কিছু দেশ থেকে বলা হচ্ছে যে, সেখানে খাদ্য সরবরাহের পর আমাদের ট্রাক ও বিমানগুলোকে অন্তত দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। জবাবে আমি বলছি, কী? এমন অনেক মানুষ আমাদের অপেক্ষায় আছে যারা এতদিন খাবার ছাড়া চলতে পারবে না। তারা মরে যাবে।

বিশ্বজুড়ে কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে, ৩৫ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। বুধবার পর্যন্ত তারা ওই অর্থের মাত্র ২০ শতাংশ পেয়েছে।