করোনা: শৈলকুপায় ৮৪টি বাড়ি লকডাউন
শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৮৪ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত একসপ্তাহ থেকে রবিবার পর্যন্ত এ বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে জনগণকে বাধ্য করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও বেড়েছে।
পুলিশ বলছে, যারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ বা করোনা আক্রান্ত বিভাগীয় শহর বা জেলা থেকে পালিয়ে শৈলকুপায় ঢুকছে সেসকল বাড়ি নিরাপত্তার স্বার্থে লকডাউন করা হচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রবিবার পর্যন্ত শৈলকুপা উপজেলায় লকডাউনকৃত বাড়িগুলো হলো- ১নং ত্রিবেণী ইউনিয়ন ৪টি বাড়ি, ২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন ৮টি বাড়ি, ৩নং দিগনগর ইউনিয়ন ৫টি বাড়ি, ৫নং কাঁচেরকোল ইউনিয়ন ৩টি বাড়ি, ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়ন ৪টি বাড়ি, ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নে ৫টি বাড়ি, ১০নং বগুড়া ইউনিয়ন ৮টি বাড়ি, ১১নং আবাইপুর ইউনিয়ন ১০টি বাড়ি, ১২নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন ১১টি বাড়ি, ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়ন ৫টি বাড়ি, ১৪নং দুধসর ইউনিয়ন ৬টি বাড়ি ও ১৫নং ফুলহরি ইউনিয়ন ১৫টি বাড়ি লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদ আল মামুন জানান, এখন পর্যন্ত শৈলকুপায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি এটা সুখবর। তবে করোনা আক্রান্ত জেলা বা বিভাগীয় শহর থেকে শৈলকুপায় প্রবেশ করলেই হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। এছাড়াও করোনা সন্দেহে ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকী রিপোর্টগুলো এখনো হাতে পায়নি।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, লকডাউন করা এলাকার বাড়িতে কাউকে প্রবেশ কিংবা বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউনের আওতায়ই থাকতে হবে বাড়ির সদস্যদের। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শৈলকুপা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসন করোনা সর্তকতায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যে গণজমায়েত রোধে সাপ্তাহিক বাজারগুলো বন্ধ করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ে কাচাবাজার খোলা মাঠে সরিয়ে দুরত্ব বজায় রেখে ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধ থাকছে। বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লার নিত্যপণ্যের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। এছাড়াও ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের তদারকি জোরদারসহ যেসকল বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে তারা বাড়িতে কোয়ারান্টাইন মানছে কি না এজন্য কমিটির নিয়োজিত সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।