ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেতনের দাবিতে ক্রিকেটার সাকিবের কাকড়া হ্যাচারির শ্রমিকদের বিক্ষোভ

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী  এলাকায় ক্রিকেটার সাকিল আল হাসানের ‌সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গত চার মাস ধরে বেতন না পেয়ে বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান শ্রমিকরা।
একাধিকবার সময় নিয়েও বেতন না দেওয়ায় সোমবার সকালে আন্দোলনে শুরু করেন ফার্মের দুই শতাধিক শ্রমিক।

তবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় র‌্যাবের একটি টহল টিম আন্দোলনরত শ্রমিকদের হটিয়ে দেয়।

সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের শ্রমিক মহিদুল ইসলাম জানান, আমাদেরকে চার মাস যাবত কোনো বেতন দেয়া হয় না। করোনা প্রাদুর্ভাবে কঠিন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। বাড়িতে খাবার নেই। বেতন দেওয়া হচ্ছে না।

অপর শ্রমিক মনোয়ারা জানান, অসহায় হয়েই সাকিবের কাকড়া ফার্মে কাজ করি। কিন্তু গত ৪ মাস বেতন বন্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে খাবার নেই। না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা।

মহিলা শ্রমিক রহিমা বেগম বলেন, বাড়ির সন্তান ও পরিবার ফেলে প্রজেক্টে কাজ করেছি অভাবের তাড়নায়। ঠিকমতো বেতন না পাওয়ায় করোনা খুবই কষ্টে আছি।
এদিকে, স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ফার্ম কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে, সাকিব আল হাসানের কাকড়া ফার্ম প্রজেক্টের তত্বাবধায়নকারী সগীর হোসেন পাভেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনকল রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, স্থানীয়রা আমাকে জানায় ক্রিকেটার সাকিবের কাকড়া খামারের সামনে শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া বিক্ষোভ করছেন। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ইউপি সদস্যকে পাঠায় ও কাকড়া খামারের ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলি।

তিনি বলেন, আমি ম্যানেজারকে জানিয়েছি, সাকিব দেশের সম্পদ। তার শ্রমিকরা যদি এই করোনা পরিস্থিতিতে রাস্তায় থাকে তবে তার সম্মান ক্ষুন্ন হবে। দ্রুত যে কোন ভাবে তাদের বুঝিয়ে বা বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করেন। পরে ম্যানেজার জানিয়েছে, তাদের স্বল্প সময়ের মধ্যেই বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
৪০৩ Time View

বেতনের দাবিতে ক্রিকেটার সাকিবের কাকড়া হ্যাচারির শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০১:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী  এলাকায় ক্রিকেটার সাকিল আল হাসানের ‌সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গত চার মাস ধরে বেতন না পেয়ে বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান শ্রমিকরা।
একাধিকবার সময় নিয়েও বেতন না দেওয়ায় সোমবার সকালে আন্দোলনে শুরু করেন ফার্মের দুই শতাধিক শ্রমিক।

তবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় র‌্যাবের একটি টহল টিম আন্দোলনরত শ্রমিকদের হটিয়ে দেয়।

সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের শ্রমিক মহিদুল ইসলাম জানান, আমাদেরকে চার মাস যাবত কোনো বেতন দেয়া হয় না। করোনা প্রাদুর্ভাবে কঠিন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। বাড়িতে খাবার নেই। বেতন দেওয়া হচ্ছে না।

অপর শ্রমিক মনোয়ারা জানান, অসহায় হয়েই সাকিবের কাকড়া ফার্মে কাজ করি। কিন্তু গত ৪ মাস বেতন বন্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে খাবার নেই। না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা।

মহিলা শ্রমিক রহিমা বেগম বলেন, বাড়ির সন্তান ও পরিবার ফেলে প্রজেক্টে কাজ করেছি অভাবের তাড়নায়। ঠিকমতো বেতন না পাওয়ায় করোনা খুবই কষ্টে আছি।
এদিকে, স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ফার্ম কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে, সাকিব আল হাসানের কাকড়া ফার্ম প্রজেক্টের তত্বাবধায়নকারী সগীর হোসেন পাভেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনকল রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, স্থানীয়রা আমাকে জানায় ক্রিকেটার সাকিবের কাকড়া খামারের সামনে শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া বিক্ষোভ করছেন। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ইউপি সদস্যকে পাঠায় ও কাকড়া খামারের ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলি।

তিনি বলেন, আমি ম্যানেজারকে জানিয়েছি, সাকিব দেশের সম্পদ। তার শ্রমিকরা যদি এই করোনা পরিস্থিতিতে রাস্তায় থাকে তবে তার সম্মান ক্ষুন্ন হবে। দ্রুত যে কোন ভাবে তাদের বুঝিয়ে বা বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করেন। পরে ম্যানেজার জানিয়েছে, তাদের স্বল্প সময়ের মধ্যেই বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।