ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা থেকে কালীগঞ্জে, শিশুটির দায়িত্ব নিলেন জেলা পরিষদের সদস্য

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

সে ঢাকার উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র। ঢাকার উত্তর বাড্ডার ১৯নং লেনের ১৯ নং বাসায় পরিবারের সাথেই থাকতো। হঠাৎ বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে ঢাকা থেকে ট্রাকে ওঠে। সাথে ছিল নিজের বাইসাইকেল। কথাগুলো বলছিলেন শিশু সিফাত।

সে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার।

রোববার রাত ৮ টার দিকে ট্রাকের ড্রাইভার তাকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামিয়ে দেয়। এরপর বাজারের নাইটগার্ড পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নাম-ঠিকানা নিয়ে ছবি তুলে চলে যায়। করোনা ভাইরাসের কারণে রাতে কেউই শিশুটির দায়িত্ব নিতে চাননি। এরপর শিশুটির সাথে দেখা জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেলের। শিশুটির সাথে বিস্তারিত কথা বলে রাতে থাকার জায়গা ও খাওয়ার দায়িত্ব নিলেন তিনি।

শিশু সিফাত জানায়, সে বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে যশোরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ট্রাকে রওনা হয়। এরপর তাকে গত রাতে কালীগঞ্জ নামিয়ে দেয়। এরপর থেকে এখানেই আছে সে।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল জানান, রাতে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আসার সময় শিশুটির দেখা মেলে। এ সময় শিশুটির সাথে ছিল কালীগঞ্জ শহরের নাইটগার্ডরা। তাদের সাথে কথা বলে তিনি শিশুটিকে তার নিজস্ব অফিসে নিয়ে যান। এরপর সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

আরো জানান, থানার ওসিকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। শিশুটির বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেছি। তারা আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আসতে পারছে না। তিনি নিজ উদ্যোগে শিশুটিকে বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
৭৬৮ Time View

ঢাকা থেকে কালীগঞ্জে, শিশুটির দায়িত্ব নিলেন জেলা পরিষদের সদস্য

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহঃ

সে ঢাকার উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র। ঢাকার উত্তর বাড্ডার ১৯নং লেনের ১৯ নং বাসায় পরিবারের সাথেই থাকতো। হঠাৎ বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে ঢাকা থেকে ট্রাকে ওঠে। সাথে ছিল নিজের বাইসাইকেল। কথাগুলো বলছিলেন শিশু সিফাত।

সে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার।

রোববার রাত ৮ টার দিকে ট্রাকের ড্রাইভার তাকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামিয়ে দেয়। এরপর বাজারের নাইটগার্ড পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নাম-ঠিকানা নিয়ে ছবি তুলে চলে যায়। করোনা ভাইরাসের কারণে রাতে কেউই শিশুটির দায়িত্ব নিতে চাননি। এরপর শিশুটির সাথে দেখা জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেলের। শিশুটির সাথে বিস্তারিত কথা বলে রাতে থাকার জায়গা ও খাওয়ার দায়িত্ব নিলেন তিনি।

শিশু সিফাত জানায়, সে বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে যশোরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ট্রাকে রওনা হয়। এরপর তাকে গত রাতে কালীগঞ্জ নামিয়ে দেয়। এরপর থেকে এখানেই আছে সে।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল জানান, রাতে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আসার সময় শিশুটির দেখা মেলে। এ সময় শিশুটির সাথে ছিল কালীগঞ্জ শহরের নাইটগার্ডরা। তাদের সাথে কথা বলে তিনি শিশুটিকে তার নিজস্ব অফিসে নিয়ে যান। এরপর সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

আরো জানান, থানার ওসিকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। শিশুটির বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেছি। তারা আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আসতে পারছে না। তিনি নিজ উদ্যোগে শিশুটিকে বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।